প্রবাসী বকুলের লাশ ঝিনাইদহে আসছে না টাকার অভাবে
প্রবাসী বকুলের লাশ ঝিনাইদহে আসছে না টাকার অভাবে
মনজুর আলম, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ চোখ-
দালালের খপ্পরে পড়ে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে সৌদি গিয়ে লাশ হলেন ঝিনাইদহের বকুল হোসেন। দুই মাস পার না হতেই গত ২৪ নভেম্বর রিয়াদের একটি হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। দীর্ঘ প্রায় এক মাস সেখানে ফ্যামিলি কেয়ার হাসপাতালের হিমঘরে তার লাশটি পড়ে আছে। কিন্তু অর্থের অভাবে মৃতদেহ দেশে আনতে পারছেনা পরিবার। আবার ৫ লাখ টাকা খরচ করে যে মাধ্যমে বিদেশে গিয়েছে তারাও লাশটি আনতে আরও ৩ লাখ টাকা দাবি করেছে। এনিয়ে পরিবারের সদস্যরা চরমভাবে উদ্বেগ উৎকন্ঠার মধ্যে সময় পার করছেন।
পরিবারের সদস্য সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়নের রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের আব্দুল গফুর মুন্সির ছেলে বকুল হোসেন স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে কৃষি কাজ করে ভালোই চলছিল সংসার। এরইমধ্যে আদম ব্যাপারীর চটকাদারী কথার খপ্পরে পড়েন বকুল। সিন্ধান্ত নেয় বিদেশে যাবার।
বকুলের স্ত্রী আসমা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ডাকবাংলা এলাকার আদম ব্যাপারী হাসান ও বকুলের বৈমাত্রিক ভাই সাইফুলের খপ্পরে পড়ে এনজিও এবং ঝিনাইদহ প্রবাসি কল্যান ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে প্রায় ৫ লাখ টাকা খরচ করে ৩১ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবে কাজের জন্য যায়। কিন্তু তাদের কথা মত কাজ সেখানে পাইনি। তাই মালিক সারাক্ষণ বকাঝকা করতো। একদিকে প্রতিশ্রুতি মত কাজ না পাওয়া অন্যদিকে এতটাকা খরচ, তাই সে সারাক্ষণ চিন্তিত থাকতো। যেকারণে তিনি অকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এমন মৃত্যু তার হল।
এখন মৃত বকুলের লাশ অনতে যে খরচ পরিবারের কোন সক্ষমতা নেই। তার দুই ছেলে শিমুল ও নাহিদ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে পড়ছেন। তারা পিতার মৃত মুখটা দেখতে উদগ্রীব। অন্যদিকে স্বামীকে হারিয়ে দুই সন্তান নিয়ে কি করবেন বকুলের স্ত্রী তা ভেবে পাচ্ছেন না। তার স্বামীর লাশ কি ভাবে দেশে আনবেন, নাকি আদো আনতে পারবেন না তা নিয়ে পরিবারটি চিন্তিত। এমতাবস্থায় বকুলের লাশ দেশ আনতে অসহায় পরিবারটি সৌদি ও বাংলাদেশ সরকারের সহায়তা কামনা করেছেন। বকুলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগঃ ০১৭৯৪-০৮৭২১৮।