কালীগঞ্জে সন্তানের সামনে পিতাকে মারধরের অভিযোগ
ঝিনাইদহ চোখ-
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মামলা কারার অপরাধে শিশু সন্তানের সামনে পিতাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে কাউন্সিলর রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (০৫ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
আহত অমিত সিকাদার উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মৃত নন্দ কুমার সিকাদারের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরে অমিত সিকদার ছেলে ও মাকে নিয়ে বাড়ি থেকে বাজারের দিকে যাচ্ছিল। এসময় ওর্য়াড কাউন্সিলর রুবেল এসে তার গতিরোধ করে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। এর প্রতিবাদ করলে অমিতকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। কাউন্সিলর রুবেল হোসেন পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও খয়েরতলা এলাকার মন্টু বিশ্বাসের ছেলে।
অমিত সিকদার জানান, মা ও ছেলেকে নিয়ে বাসা থেকে টাকা তোলার জন্য ব্যাংকে যাচ্ছিলাম। এসময় রুবেল এসে আমাকে দাঁড়াতে বলে এবং জানতে চাই আমি কেন তার বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেছি। আমাকে অপহরণ করা হয়েছিল এই জন্য মামলা করেছি। এ কথা বলার পর রুবেল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও কিল ঘুসি মারতে থাকে। এসময় আমার সঙ্গে থাকা শিশু সন্তান মারধর দেখে ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার করে। আমার মা ঠেকাতে গেলে তাকেও বিভিন্ন ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। এ সময় কাউন্সিলর রুবেল হুমকি দেয়, তুই মামলা করে কি করবি।
তিনি আরো জানান, রুবেল এর আগে ২৪ অক্টোবর দুপুরে অপহরণ করে খয়েরতলা এলাকায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে রুবেলকে প্রধান আসামী করে কালীগঞ্জ থানায় মা ইতি সিকদার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
আহত অমিত সিকদারের মা ইতি শিকদার জানান, আমার ছেলে ও নাতিকে নিয়ে ব্যাংকে যাচ্ছিলাম। এ সময় রুবেল তার ছেলেকে গতিরোধ করে গালিগালাজ করতে থাকে। এসবের প্রতিবাদ করলে রুবেল তার ছেলেকে এথোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে। একপর্যায়ে মাটিতে পড়ে যায়। এরপর পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। এর আগেও কয়েক বার আমার ছেলেকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে। আমরা কেন তার বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা করলাম এটার অপরাধে সে আবারও হামলা করছে।
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর রুবেল হোসেন বলেন, ভূষণ স্কুল সড়ক দিয়ে আসার পথে ডাকবাংলা মসজিদের কাছে পৌঁছালে হঠাৎ অমিত শিকদার বিষু প্রথমে রড দিয়ে তার হাতে আঘাত করে। এরপর তিনি তাকে মারধর করেন। তিনি এখন হাসপাতালে ভর্তি।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মর্কতা আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, এ ঘটনা শোনার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে পুলিশ।