অন্যান্য

অপহরণের ছয় দিন পর ঝিনাইদহের শিশু উদ্ধার ।। গ্রেপ্তার ৩

ঝিনাইদহ চোখ-
গাজীপুরে তিন মাসের শিশু অপহরণের ছয়দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে ও অপহরণে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ পশ্চিম পাড়া গ্রামের সুবেদ আলীর ভাড়া বাসা থেকে অপহৃত শিশু উদ্ধার করা হয়।

শনিবার দুপুরে গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী শফিকুল আলম তার কার্যালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার বাউশি গ্রামের আল্পনা ওরফে রুবিনা, তার সহযোগী একই জেলার দুর্গাপুর উপজেলার হাবিআলী গ্রামের গৃহবধূ ফাতেমা এবং তার ছেলে রফিকুল ইসলাম।

অপহৃত শিশু ফাতেমা ঝিনাইদহ জলোর মহেশপুর উপজেলার বিশ্বনাথপুর গ্রামের ফিরোজ হোসেনের কন্যা। তিনি স্ত্রী, শিশু সন্তান নিয়ে নগরীর জয়দেবপুর থানার শিরিরচালা এলাকার মাজহারুল ইসলামের বাড়িতে বাস করতেন।

জয়দেবপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মমিন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

এসআই আব্দুল মমিন বলেন, প্রতিদিন শিশু সন্তানকে দাদির কাছে রেখে ওই দম্পতি কর্মস্থলে যান। গত দেড় মাস আগে আসামি আল্পনা ওরফে রুবিনা ওই দম্পতির পাশের ঘর ভাড়া নেন। পরে সে বিভিন্ন কৌশলে শিশুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিশে সখ্যতা গড়ে তুলে বিশ্বাস অর্জন করেন।

তিনি বলেন, গত ২ এপ্রিল শিশুটিকে তার দাদির কাছে রেখে তার বাবা-মা কর্মস্থলে চলে যায়। ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টায় শিশুটি কান্না শুরু করে। পরে আসামি আল্পনা ওরফে রুবিনা শিশুকে কোলে নিয়ে তার দাদিকে রান্না ঘর থেকে দুধ গরম করে আনতে বলে। এ সুযোগে আসামি কৌশলে শিশুকে তার নিজের রুমে নিয়ে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে ঘরের পেছনের জানালা দিয়ে (গ্রিল ছাড়া) লাফ দিয়ে শিশুকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে শিশুটির বাবা মামলা করলে সিসিটিভি ফুটেজ, সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুরের পূর্বের শিশু অপহরণ চক্রের সদস্যদে সঙ্গে ছবি (মুখ শনাক্তকরণ সফটওয়ারের) মাধ্যমে চিহ্নিত করে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এসআই মমিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি নিজে লালন পালন করার জন্য শিশুকে অপহরণ করেছে বলে স্বীকার করেছেন। লালনপালন করতে না পারলে পরে ওই শিশুটি বিক্রি করে দিতো।

গ্রেপ্তারব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। শিশুটিকে তার বাবা-মার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button