৪ দিন পর কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার
ঝিনাইদহ চোখ-
কুষ্টিয়ার বাস শ্রমিকদের উপর ঝিনাইদহ-কালিগঞ্জের শ্রমিকদের হামলা ও মারধরের জেরে কুষ্টিয়া জেলা মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে কুষ্টিয়া থেকে খুলনা ও ফরিদপুর রুটে চলামান অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদাহ জেলা প্রশাসন ও মালিক শ্রমিক যৌথ বৈঠকে এই বাস ধর্মঘট প্রতারের ঘোষণা দিয়েছেন দুই জেলার নেতারা।
গত শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হওয়া কুষ্টিয়া থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় মারাত্মক ভোগান্তি ও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে এসব রুটে যাতায়াতকারী যাত্রীরা।
প্রচন্ড খরতাপের মধ্যে বাস না থাকায় ঠাসাঠাসি করে ঝিনাইদাহ থেকে কুষ্টিয়ায় আসলেন কুষ্টিয়া শহরের আব্দুর রউফ। তিনি জানালেন, গত ৩দিন ধরে যে কষ্ট ও ভোগান্তি মাথায় নিয়ে যাতায়াত করছিলাম তার একটা সুরাহা হয়েছে শুনে খুব ভালো লাগছে। এসময়ে শরীর মন ও পকেটের উপর যে ধকল গেলো তা কুলিয়ে উঠতে বেগ পেতে হবে।
কুষ্টিয়া জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের সভাপতি আক্তার হোসেন বলেন, সোমবার দুপুর দেড় টায় কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহের বাস মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের নিয়ে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল ইসলামের সাথে তার সভাকক্ষে একটি বৈঠক থেকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত মতে, শ্রমিকদের উপর হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে, রুট পারমিট দাবির ক্ষেত্রে উভয়পক্ষের সমতা ভিত্তিক সিদ্ধান্তে অনুমোদন করা হবে। এধরণের গুরুত্বপূর্ণ দাবি গুলি পর্যায়ক্রমে উভয়পক্ষ থেকে পূরণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানালেন এই মালিক পক্ষের নেতা।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, আজ দুপুরে দুই জেলার মালিক শ্রমিকদের সাথ কথা বলে উভয় পক্ষের বক্তব্য ও দাবি শুনানি শেষে তাদের মতামত ও বক্তব্যের ভিত্তিতে বন্ধ থাকা বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামীকাল সকাল থেকেই দুই জেলার মধ্যে আন্ত:জেলা বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে মনে করছি।
উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ মোটর শ্রমিক নেতারা বাসের নতুন ট্রিপ দাবির ঘটনাকে কেন্দ্র সৃষ্ট দ্বন্দের জেরে ঝিনাইদহের শ্রমিকরা কুষ্টিয়ার বাস শ্রমিকদের উপর হামলা ও মারধর করে। এরই প্রতিবাদে ও জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে গত শুক্রবার (০৭ এপ্রিল) ভোর থেকে কুষ্টিয়া হতে খুলনা ও ফরিদপুর রুটে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘটের ডাক দেয় কুষ্টিয়া জেলা মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। এবং ১০ এপ্রিলের মধ্যে হামলা ও মারধরের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার না করলে সারা দেশের সঙ্গে কুষ্টিয়ার বাস যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার আল্টিমেটামও দিয়েছিলেন কুষ্টিয়ার মালিক শ্রমিক নেতারা।