ঝিনাইদহে যত্রতত্র হাতি নিয়ে চাঁদাবাজি
বসির আহাম্মেদ, ঝিনাইদহ চোখ-
ঝিনাইদহের বিভিন্ন সড়কে হাতি নিয়ে চাদাবাজির ঘটনা ঘটছে । প্রতনিয়ত এ ধরনের ঘটনায় সাধারণ মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। সড়কে চলাচলকারী সকল প্রকার যানবাহন থামিয়ে আদায় করা হচ্ছে টাকা।হাতির ভয়ে নারী মোটরসাইকেল যাত্রীদের আত্মচিৎকার করতে দেখা গেছে। অনেক পদযাত্রীদের ভয়ে দৌড়াতে দেখা গেছে।
জানাযায়, হাতিটি পরিচালনা করছেন এক যুবক। লালন নামের ঐ যুবক হাতিটির পিঠে বসে আছেন রাজার বেশে। লালনের নির্দেশেই মোটরসাইকেল, থ্রি হুইলার, ইজিবাইক, বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস থামিয়ে আদায় করা হচ্ছে টাকা। হাতির শুঁড় দিয়ে জোর পূর্বক আদায় করা হচ্ছে টাকা। মহাসড়কে বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাস থামিয়ে ৫’শত টাকা চাঁদা দাবি করে কিন্তু ১’শত টাকা দিলে তা না নিয়ে রাস্তায় ১০/১৫ মিনিট আটকে রাখে মাইক্রোবাসটি।
জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার মাইক্রোবাস চালক রাজিব জানান, আমি হরিণাকুন্ডু থেকে বিয়ের ভাড়া নিয়ে বিষয়খালীর কেশবপুর গ্রামের উদ্দেশ্যে আসছি হঠাৎ বিষয়খালী বাজার এলাকায় আসলে দুর থেকে দেখি বিশাল আকৃতির একটি হাতি দাঁড়িয়ে নিরব চাঁদাবাজি করছে। আমার গাড়ি থামিয়ে ৫’শত টাকা দাবি করে কিন্তু আমি তা দিতে রাজি না হওয়ায় গাড়িটি আটকে রাখে বেশ কিছু সময়। শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে না দেওয়া পর্যন্ত শুঁড় সরাচ্ছে না হাতিটি। টাকা না দিলে উল্টো ভয় দেখানো হচ্ছে। শুধু কি তাই! হাতিটি পরিচালনা কারীর ইচ্ছা অনুযায়ী টাকা না দিলে কিছু সময় গাড়ি আটকে রাখতে দেখা গেছে। ছাড় নেই কারও পথচারী কিংবা বিভিন্ন যানবাহনের চালককে। এভাবেই হাতি দাঁড় করিয়ে দিনে-দুপুরে চলছে মহাসড়কে নিরব চাঁদাবাজি। এতে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে পথচারী ও বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের।
সরজমিন দেখা যায়, সদর উপজেলার বিষয়খালী বাজার এলাকায় মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে দাঁড়িয়ে হাতি দিয়ে যানবাহন থেকে টাকা তুলছে।সর্বনিন্ম ২০ টাকা থেকে শুরু করে ১’শত টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে চাঁদা।
বিশাল হাতিটির পিঠে চগে বসে আছেন এক যুবক। স্থানীয় ভাষায় তাকে বলা হয় মাহুত। আসলে মাহুত হাতির দেখভাল করে থাকেন। তবে হাতির পিঠে বসে থাকা যুবক লালনের কাছে কোথা থেকে এসেছে এটা জানতে চাইলে জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। হাতি নিয়ে চাঁদাবাজি করছে বললে বলেন,আমি টাকা তুলবো পারলে কেউ আমাকে ঠেকাক।
স্থানীয় টিপু নামের এক যুবক মহাসড়কে গাড়ির গতিরোধ করে চাঁদা তুলতে বারণ করলে তার ওপর তেড়ে যায় হাতি নিয়ে।স্থানীয় এলাকাবাসী হাতি নিয়ে এভাবে নিরব চাঁদাবাজি মেনে নিতে নারাজ।
হাতি বা বন্যপ্রাণী ব্যবহার করে মহাসড়কে চাঁদাবাজি করা পেনাল কোডে এটি একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই পথচারী ও বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের মতে,বিষয়টি প্রশাসনের একটু দৃষ্টি দেওয়া উচিত।