হে নারী—গুলজার হোসেন গরিব
ঝিনাইদহের চোখঃ
গুলজার হোসেন গরিব
নারী তুমি জন্ম দাও ঘুমন্ত সেই কাঙ্খিত সভ্যতা
তুমি নও অবলা ঢেকোনা পরাজয়-ব্যর্থতা।
আর কতকাল ধুকে ধুকে যাবে মাটির ভেতরে?
আর কতকাল বন্দি রবে ঐ পুরুষ শাসিত ঘরে?
নেওলী স্তন খাজনার দায়ে মরেছে,পুড়েছে কতজন!
তেমনি এখনো মরে আর মারে পুরুষদম্ভে সতীজন।
আর নয় দেরি,দেড়ি করো নারী,ভারি করো মনোবল
উড়াও নিশানা দিশাটা মানুষ মুছে ফেলো ক্ষতজল।
নারী আছে আধাআধি ভাগাভাগি নাও রুখে
দাঁড়াও পথে স্বাধিনতা নিতে সাহস নিয়ে বুকে।
ভাঙ হে নারী যত তাড়াতাড়ি বিশ্ব ভোগের নগর
উপড়ে ফেলো নগ্ন জনের মন্দ চোখের নজর।
কেনো হেয় করে দেখবে পুরুষ সমভাগি নারীকে?
কেনো বহাল রাখবে পুরুষ নরক্রোধ আড়িকে?
ছিড়ে ফেলো সে পুরান প্রথা নারী যেখানে ঘৃনার
জন্ম যখন নর-নারী সবে একই আদি পিতার।
সে কাল গিয়েছে খোয়া
নারীরা ছিলো বর্জ্য ময়লা পুরুষেরা দুধে ধোয়া।
আজ অনেক সিঁড়ি পার হয়ে,বঙ্গে এসেছে দিন!
তবু কেনো আজো ওই জুজু ভয়ে হও সহসা লীন।
আলো পেয়েছো,ভালও ভালো,শক্তি আছে হাতে
কিসের জন্য পিছু পড়ে রবে,চলো সবে একসাথে।
নারী তাঁরে প্রিয় বন্ধু করো সন্ধি করো গো চলার
নর শাসনের বাঁধ ভেঙে দাও দরজা খুলুক আশার।
নারীর নামেই বাঁচবে নারী,বন্ধু হবে প্রিয় বর
মাথানত করে আর দেবেনা পুরুষ শোষণে কর।
শোনো হে নারী শোনো
পুরুষের মতো এই জগতে নারীরাও মানুষ যেনো।