অ্যাজমা থেকে বাঁচার উপায়

ঝিনাইদহের চোখ ডেস্ক: গ্রীক ভাষায় অ্যাজমা শব্দের অর্থ হল হাঁপ ধরা অথবা হ্যাঁ করে শ্বাস টানা। গ্রীক চিকিৎসক হিপোক্রেটিস যে কোন ধরনের শ্বাসকষ্টকে হাঁপানি নাম দিয়েছিলেন। অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট এমন একটা রোগ যার নির্দিষ্ট কোন কারণ নেই। আবার যার অ্যাজমা আছে সে কখনও এ রোগ থেকে একেবারে ভালো হবে না কিন্তু নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।
আমাদের ফুসফুসে অক্সিজেন বহনকারী যে সরু সরু নালীপথ ধুলো, অ্যালার্জি বা দূষণের প্রকোপে কুঁচকে যায়। শ্বাসনালীর পেশী ফুলে ওঠার কারণেই এই সংকোচন হয় ও শরীরে অক্সিজেন কম প্রবেশ করে। তাই শ্বাসের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের জোগান মেলে না। এই অসুখের প্রবণতা যাদের আছে, অনেকক্ষেত্রেই তাদের সারা জীবন এই সমস্যা বহন করতে হয়। তবে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে অ্যাজমা সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়..
অ্যাজমা থেকে পরিত্রাণ পেতে:
১। যে ঘরে অ্যাজমার রোগী থাকেন, সে ঘরে যথেষ্ট আলো-বাতাস ঢোকার ব্যবস্থা করতে হবে। নিয়মিত ঘর পরিষ্কার ও ধুলো মুক্ত রাখতে হবে।
২। যখনই রাস্তায় বের হবেন, নাক-মুখ ঢাকা মাস্ক ব্যবহার করুন। সেই মাস্কও যাতে নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
৩। জামাকাপড় পরিষ্কার রাখুন। কোনোভাবে সংক্রমিত রোগীর সামনে গেলে বাড়ি ফিরে ভালো করে নিজেকে পরিষ্কার করুন।
৪। সম্ভব হলে বিছানার চাদর নিয়মিত পাল্টান, রোজ তা সম্ভব না হলেও অন্তত দু’-তিন দিন পরপর তা বদলে দিন ও পরিষ্কার চাদর পাতুন।
৫। বাড়িতে পোষা প্রাণি থাকলে সাবধান হোন। অ্যানিম্যাল বিহেভিয়ার বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ তো রাখতেই হবে।
যে খাবারগুলো খাবেন:
১। এই অসুখ ঠেকাতে বা অসুখের প্রবণতা কমাতে প্রতিদিন একটি করে আপেল খান। গবেষণায় দেখা গিয়েছে সপ্তাহে পাঁচটি আপেল খেলে অ্যাজমায় আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা কমে প্রায় ৩২ শতাংশ।
২। খাবার পাতে রাখুন ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ। এদের অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান ব্রঙ্কিয়াল ইনফ্লামেশনকে (ফুসফুসের প্রদাহ) কমাতে সাহায্য করে।
৩। শরীরে রোগ প্রতিরোধে উপযোগী হিসাবে বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ গাজর খান। এর ভিটামিন এ ক্যারোটিন শরীরে অসুখের হানার সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে।
৪। দুধের ম্যাগনেশিয়াম অ্যাজমার সঙ্গে লড়াই করার জন্য খুবই উপযোগী। দুধে কোনোরকম সমস্যা তৈরি না হলে দুধ রাখতেই পারেন পাতে।