আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি, চেষ্টায় ২০ ইউনিট
ঝিনাইদহের চোখ ডেস্ক: নানীর ১৭ নম্বর রোডের এফআর টাওয়ারে লাগা আগুন বিকেল ৩.১৬ মিনিট পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আগুনের কারণে বনানীর এফআর টাওয়ারের আশেপাশে সব ভবনের লোকজন সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এফআর টাওয়ারের বিভিন্ন অফিসে কর্মরতদের স্বজনরা ভবনের নিচে সমবেত হয়েছেন। এছাড়া আগুনের ঘটনায় আহতদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স রেডি রাখা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে এফআর টাওয়ারের ৯ তলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুনের সংবাদ পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট পাঠানো হয়। দেড়টা পর্যন্ত মোট ১০টি ইউনিট সেখানে কাজ করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে ২০টি ইউনিট কাজ করছে।
দুপুর ৩টা ১৬ মিনিটে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুনের কারণ কিংবা হতাহতের বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।
ভবনটিতে দ্যা ওয়েভ গ্রুপ, হেরিটেজ এয়ার এক্সপ্রেস, আমরা টেকনোলজিস লিমিটেড ছাড়াও অর্ধশতাধিক অফিস রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী রায়ান খান জাগো নিউজকে বলেন, আমরা তিন-চারজন নিচে দাঁড়িয়ে নাস্তা করছিলাম। ভবনটির ৯ কিংবা ১০ তলায় দাউ দাউ করে প্রচুর ধোঁয়া বের হতে দেখি আমরা। অনেককে চিৎকার করে নিচে নামতে দেখি। তখনই আমি ৯৯৯ এ ফোন দেই। পাশাপাশি আরও ২-৩ জন ফায়ার সার্ভিসে ফোন দিয়েছে। কয়েক মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট সেখানে উপস্থিত হয়। এর মধ্যে ল্যাডার ইউনিট (বহুতল ভবন থেকে উদ্ধারকারী সিঁড়ি) ও মোটরসাইকেল ইউনিট ছিল।
ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস ছাড়াও ভবনের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরা অবস্থান করছেন। ভবনের ভেতরে অনেকে আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া বহুতল ভবনটির পাইপ বেয়ে অনেককে নিচে নামার চেষ্টা করতেও দেখা গেছে।