ঝিনাইদহের চোখঃ
খাবারকে কয়েক দিন সংরক্ষণ করার জন্য ব্যবহার করা হয় ফ্রিজ। রান্না করা তরকারি থেকে শুরু করে সবজি, মাছ থেকে শুরু করে মাংস সব সংরক্ষণে ফ্রিজ ছাড়া অন্য কিছুর কথা ভাবতেই পারেন না অনেকে। কিন্তু সব খাবার কি ফ্রিজে রাখা উচিত? না একদমই না। কিছু খাবার ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। চলুন জেনে নিই সেগুলো কী-
পেঁয়াজ-
ফ্রিজে যে পেঁয়াজ রাখা উচিত নয় তা অনেকেই জানেন। কেনোনা ফ্রিজের বন্ধ জায়গায় ঠিকমতো বাতাস চলাচল হয় না। ফলে পেঁয়াজ পচে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই আলু, পেঁয়াজ ইত্যাদি সবসময় বায়ু চলাচল করে এমন জায়গায় রাখবেন।
ফ্রিজে যদি পেঁয়াজ রাখতেই হয় তবে খোসা ছাড়িয়ে এয়ার টাইট বক্সে রাখুন। তবে তা যেন ২/৩ দিনের বেশি না হয়।
পাকা কলা-
অনেকেই ফ্রিজে কলা রাখেন। কিন্তু এই কাজটি করা একদমই ঠিক নয়। ফ্রিজের ঠান্ডায় কলা পাকতে পারে না। যার ফলে তা দ্রুত পচতে শুরু করে। তাই ফ্রিজে না রেখে বাইরেই কলা রাখুন।
আপেল-
কলার মতো আপেলও ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। অনেকেই এই কাজটি করে থাকেন। ফ্রিজে আপেল রাখলেও খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে বের করে বাইরে রাখুন। তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলে তারপর ধুয়ে খান।
টমেটো-
এই সবজি যত দ্রুত খাওয়া যায় ততই ভালো। অর্থাৎ সতেজ টমেটো খাওয়ার চেষ্টা করুন। ফ্রিজে টমেটো রাখলে এর গন্ধ ও স্বাদ দুটোই কমে যায়। প্রয়োজন হলে একটি ঝুড়িতে মেলে রেখে টমেটো সংরক্ষণ করুন।
পাউরুটি-
আমরা প্রায় সবাই ফ্রিজে পাউরুটি সংরক্ষণ করি। ফ্রিজে পাউরুটি রাখলে তা চিমসে যায়। এছাড়াও ঠান্ডা তাপমাত্রার ফলে এটি দ্রুত গতিতে নষ্ট হয়ে যায়। তাই ফ্রিজে পাউরুটি রাখবেন না।
মধু-
ফ্রিজে মধু সংরক্ষণ করা উচিত নয়। এতে তা দ্রুত দানাদার হয়ে যায়। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এটি তাজা ও মসৃণ থাকে। ফ্রিজে সংরক্ষণ করলে মধুর গুণগতমান নষ্ট হয়ে যায়। তাই এয়ার টাইট পাত্রে, ফ্রিজের বাইরে মধু সংরক্ষণ করুন।
এছাড়াও তরমুজ, অলিভ অয়েল, রসুন ইত্যাদিও ফ্রিজে সংরক্ষণ করা উচিত নয়।
