ঝিনাইদহে আন্তর্জাতিক ফোকলোর সম্মেলনের মধুর পরিসমাপ্তি
ঝিনাইদহের চোখঃ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দুইদিন ব্যাপী চতুর্থ আন্তর্জাতিক ফোকলোর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় বীরশ্রেষ্ঠ হামদুর রহমান মিলনায়তনে দ্বিতীয় পর্ব অনুিষ্ঠত হওয়ার মাধ্যমে সম্মেলনটি শেষ হয়। ইবির ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ফোকলোর গবেষনা কেন্দ্র, কলকাতার লৌকিক, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন ও ঝিনাইদহ পৌরসভার যৌথভাবে সম্মেলনটির আয়োজনে করে।
সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে গিয়ে সম্মেলনে মিলিত হয়।
ফোকলোর বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্ব সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর রশিদ আসকারী। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ইমিরিটাস অধ্যাপক বরুণকুমার চক্রবর্তী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান, ইবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ডায়মন্ড হারবার উইমেন্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক তপন কুমার, আমেরিকার নিউ মেক্সিকো বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ডেমন জোসেফ মন্টিক্লার ও ঝিনাইদহ পৌরসভার শেয়র সাইদুল করিম মিন্টু ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সনৎ কুমার নস্কর প্রমুখ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় সভাপতি, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, প্রক্টর, ছাত্র-উপদেষ্টা ও শিক্ষক, কর্মকর্তা ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিভাগের প্রভাষক মৌসুমি আক্তার মৌ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
অনুষ্ঠানে ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদকে বরেণ্য শিক্ষাবীদ ও সাহিত্যিক হিসেবে এবং সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে শিক্ষা উদ্দোক্তা হিসেবে ঐতিহ্য স্বর্ণপদক ও সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ পদক ও সম্মাননা প্রদান করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর গবেষণা কেন্দ্র।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, ‘সারা বিশ্বে ২০৫ মিলিয়ন বাঙালী আছে তাদের প্রাণের সংস্কৃতি বাঙালী সংস্কৃতি। বাংলাদেশে ও রয়েছে ৪০-৫০ টি জাতিসত্বা যারা সকলে মিলে রাষ্ট্র বির্নিমান করছে। তিনি বলেন, বিশ্ব এখন হুমকির মুখোমুখি প্রতিদিনই কোন না কোন দেশে জঙ্গীবাদী হামলার সম্মুখিন হচ্ছে। এতে করে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটছে। আমরা ৯/১১ দেখেছি তথাকথিত জিহাদী জঙ্গীবাদের উত্থান দেখেছি। অন্যদিকে আই.এস.এস মোকাবেলার নামে বিশ্বব্যাপী ইসলাম ফোবিয়া সৃষ্টি করা হচ্ছে। তাই চুড়ান্তভাবে আমরা শান্তি প্রতিষ্টার জন্য কাজ করবো এজন্য পরমত ও পরধর্ম সহিষ্ণু হতে হবে। ’
সম্মেলন শেষে সন্ধ্যা ৭টায় ঝিনাইদহের পুরাতন ডিসি কোর্ট মুক্তমঞ্চে সমাপনী অধিবেশন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।