তীর বিদ্ধ পাখি—-সালমা ইসমাম
ঝিনাইদহের চোখঃ
শুনেছো কি একটা তীর বিদ্ধ পাখির আহাজারি ,তার করুণ আর্তনাদ
আজ নির্ঘুম কেটেছে তার সারাটারাত,
নীড়ে ফিরে দেখে সে তার বাসায় ঘর বেধেছে অন্য এক পর।
যে ঘরটা, যে হৃদয়টা এতকাল তার ছিল
এখন তার হয়েছে ভাগ, বলো হৃদয় ভাগ হলে থাকে কি আর?
পাখিটার বিশ্বাসের আজ অকাল মৃত্যু
ভালোবাসা কি অবশিষ্ট আছে আর,
বিশ্বাস ছাড়া ভালোবাসা কি বেঁচে রয়।
পাখিটার সব স্বপ্ন আজ ধূলিসাৎ হৃদয় পুড়ে ধুপের ছাই, যে ভালোবাসা বাঁচিয়ে রেখেছিল সে যুগ যুগান্তর ধরে,
সেই ভালোবাসায় ঘুন ধরেছে,ঘুন পোকার বসবাস।
পাখিটার আজ ইচ্ছা জাগে সব আকিঞ্চন ভুলে নিথর দেহে রবে পড়ে।
ছানা দুইটা তাকে আঁকড়িয়ে ধরে বলে মা যেও না আমাদের ছেড়ে আমাদের জন্য তোমাকে বাঁচতে হবে।
হয়তো সে বেঁচে রবে সব সত্ত্বা ছেড়ে
এই বাঁচাকে কি বাঁচা বলে না জিন্দা লাশ বলে?
তবুও বেঁচে থাকতে হবে তাকে ছানা দুটার জন্য, যতদিন ওরা স্বাবলম্বী না হয়ে উঠে
ঘৃণার দহনে পুড়তে পুড়তে দেহটা হয়তো একদিন অবশিষ্ট আর রবে না তার
সেদিন ওরা আর পারবে না মা পাখিটাকে ধরে রাখতে ওদের করে।