সুলতান আল একরাম, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার এক কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রভাইডারের বিরুদ্ধে একাধিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী এবং একই সাথে ব্যবসায় করার অভিযোগ পাওয়াগেছে।
জানাগেছে কামরুজ্জামান বিটু নামে এক ব্যক্তি কালীগঞ্জ উপজেলার বড় ঘিঘাটি গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিকের হেল্থ কেয়ার প্রভাইডার এবং একই সাথে তিনি ধলা বে-সরকারী রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
এছাড়াও একই উপজেলার শিশু তলা বাজারে জননী ফার্মেসী নামে রয়েছে তার একটি ওষুধের ব্যবসায় সেখানে তিনি নিয়মিত রুগী দেখেন। গত ৬এপ্রিল তিনি কউিনিটি ক্লিনিকে স্বাক্ষর করে বে-সরকারী শিক্ষকদের সাথে বিদ্যালয় সরকারী করণের দাবিতে আন্দোলনের কর্মসূচীতে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে মিটিংয়ে আসেন। এবিষয়ে তাকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আমি কমিউনিটি সেন্টারে চাকুরির পর বিকাল তিনটা থেকে স্কুল চালায়। অফিস টাইমে মিটিংয়ে যোগদেওয়ার ব্যাপারে তিনি সঠিক কোন উত্তর দিতে ব্যার্থ হন। ধলা বে-সরকারী রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে জানা যায় তিনি বেশির ভাগ সময়ই স্কুলে কাটান। কমিউনিটি ক্লিনিকে সই করে কিছুক্ষণ পরেই স্কুলে চলে আসেন বলে জানায় ছাত্র ছাত্রীরা। এব্যাপারে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে কথা বলে একই তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়াও তিনি শিশু তলা বাজারে জননী ফার্মেসীতে নিয়মিত রুগি দেখেন বলে জানা গেছে। এমনকি তিনি ডাক্তার না হয়েও জেনারেল প্রেকটিশনার হিসাবে রুগিদের প্রেসকিপশন করে দেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের পরিদর্শক কামরুল আযম জানান বড় ঘিঘাটি কমিউনিটি সেন্টারের হেল্থ কেয়ার প্রভাইডার কামরুজ্জামান প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক কিনা তা আমদের জানা নায়, এটা তিনি করতে পারেন না কারণ সরকারী চাকুরীজীবিদের অন্য কোন চাকুরী করার সুযোগ নেই, যদি ওনি করে থাকেন তাহলে সেটা সম্পুর্ণ বে আইনি।