মোস্তফা কামাল, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডেফল বাড়ীয়া গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রী লাকী খাতুনকে প্রকাশ্যে মারপিট,, স্ত্রী শালীনতার হানি ঘটানো, ওু লুট পাটের অভিযোগ উঠেছে এলাকার মেম্বার কলিম উদ্দিন, আমজাদ হোসেন সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে। দুই মেম্বার সহএলাকার অপর ৪ জনের নামে গৃহবধূ লাকী খাতুন ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে এবং ডেফল বাড়ীয়া গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ওই গ্রামের চৌরাস্তা মোড়ে “কসমেটিকস কর্ণার” নামে লাকী খাতুনের একটি ষ্টেশনারী দোকান রয়েছে। স্বামী রবিউল প্রায় ১২ বছর ধরে দুবাই থাকেন। তাদের জাকির হোসেন ও রাকিব হোসেন নামে দূটি পুত্র সন্তান রয়েছে। স্বামী বিদেশে থাকায় এবং লাকীর চেহারা সুন্দর হওয়ার কারনে মেম্বার কলিমউদ্দিন লাকী কে কুপ্রস্তাব দিত। এতে রাজী না হওয়ায় গত ২৪ এপ্রিল দুপুর ১২ টায় মেম্বার কলিমউদ্দিন, আমজাদ হোসেন, সুজাত, রাসেল, সেকেন্দার ও জামাল লাকীর দোকানের সামনে এসে তাঁকে গালি গালাজ করতে থাকে।
লাকী গালি গালাজ করতে নিষেধ করলে কলিম মেম্বারের হুকুমে আমজাদ মেম্বার তাকে দোকান থেকে টেনে হেঁচড়ে রাস্তায় নিয়ে সকলে মিলে লাটি সোটা দিয়ে মারপিট করে। তারা লাকীর গলায় থাকা ৩৪ হাজার টাকা মূল্যের সোনার চেইন এবং দোকান থেকে নগদ ২৫ হাজার টাকা লুট করে নেয়।
তাছাড়া তারা লাকীর পরনের কাপড় চোপড় টেনে খুলে বে আব্রু করে। এতে গৃহবধূ লাকীর স্ত্রী শালীনতার হানি ঘটে । পরে তিনি সদর হাসপাতালে চিকিবৎসা নিয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
ঘটনা দেখা গ্রাম বাসী হাবিবুর রহমান, রুহুল আমিন, মোক্তার আলী এবং বাদশা আলম জানালেন, গৃৃহবধু লাকী খাতুন একজন মুক্তি যোদ্ধার পুত্রবধু। তিনি একটি ভালো মানুষ। এলাকায় তার কোন বদনাম নেই। তারা দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দাবী করেন।
এদিকে মেম্বার কলিমউদ্দিন ও আমজাদ হোসেন তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং বলেন, কুমড়া বাড়ীয়া চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম এর সাথে আমদের ১১ জন মেম্বারের ভাতা সহ অনান্য বিষয়ে বিরোধ থাকার কারণে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাছাড়া লাকীর ছেলে জাকির প্রায়ই এলাকার ছেলেদের মারধোর করে। এসব কাজে আমরা বাধা দেই বলেই আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
এই ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান খান বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে এবং শীঘ্রই তাদেরকে গ্রেফতার করার চেষ্টা কর হচ্ছে ।
