বয়স কমাবেন যেভাবে
সময়কে আটকে রাখা যায় না। সময়ের স্রোতে বাড়তে থাকে প্রত্যেকের বয়স। চাইলেও তা থামিয়ে রাখা যায় না। তবে আপনি চাইলেই চেহারায় ধরে রাখতে পারেন তারুণ্য। অর্থাৎ বয়স বাড়লেও তার ছাপ পড়বে না চেহারায়। সেজন্য পার্লারে গিয়ে কাড়িকাড়ি টাকা খরচও করতে হবে না। কীভাবে? চলুন জেনে নেই-
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের উপরের স্তরে আর্দ্রতা রক্ষাকারী মলিকিউলের পরিমাণ ক্রমশ কমতে থাকে। তাই সারাদিনে অন্তত দুই থেকে তিনবার ময়েশ্চারাইজার লাগান। হাইড্রেটিং সিরাম ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার ব্যাপারে খুবই কাজের। পাশাপাশি পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন, খাবারে রাখুন ফল, সালাদের মতো জিনিস। ত্বকের শুকনোভাব নিয়ে আর ভাবতে হবে না।
বয়স ত্রিশে কোঠা পার হতে না হতেই চোখের চারপাশে সূক্ষ্ম রেখার আনাগোনা শুরু হয়ে যায়। চোখের কোলে কালির সমস্যাও দেখা দেয় অনেকের। এর সমাধানে অন্যতম হাতিয়ার রেটিনল সমৃদ্ধ আই ক্রিম। রেটিনলে এ ভিটামিনের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি হওয়ায় চোখের চারপাশের সংবেদনশীল ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। তবে দিনের বেলায় রোদের মধ্যে কখনও আই ক্রিম লাগাবেন না। সবসময় রাতে শুতে যাওয়ার আগে আই ক্রিম লাগান।
ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ কোলাজেনে ঘাটতি। বাজারে দুই ধরনের কোলাজেন সমৃদ্ধ অ্যান্টি-এজিং ক্রিম পাওয়া যায়। প্রথমটি ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, আর দ্বিতীয় ধরনের ক্রিমে সক্রিয় উপাদান হিসেবে কোলাজেন থাকে। কোন ধরনের ক্রিম আপনার উপযোগী, ত্বক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে জেনে নিন।
দিনের বেলা ফাউন্ডেশনের বদলে এসপিএফ যুক্ত বিবি ক্রিম ব্যবহার করুন। পাউডার-বেসড মেকআপের বদলে নিয়ে আসুন লিকুইড মেকআপ। ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে লিকুইড মেকআপ আদর্শ! ঠোঁট আর চোখের মেকআপ কেনার সময়ও লিকুইড প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারলে ভালো হয়। ঘুমানোর আগে অবশ্যই মেকআপ তুলে নেবেন।