লিভার সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তি কি রোজা রাখতে পারবেন?

ঝিনাইদহের চোখঃ
লিভার সমস্যায় আক্রান্ত – বছর ঘুরে আবারও আমাদের মাঝে এসেছে পবিত্র মাহে রমজান। এই রমজানে অনেক লিভার রোগী ডাক্তারদের কাছে জানতে চান তাদের রোজা রাখা ঠিক হবে কী হবে না?
এটা আসলে বড় আঙ্গিকে আলাপের বিষয়। কোন কোন লিভার রোগী রোজা রাখতে পারবেন আর কোন লিভার রোগীর জন্য রোজা রাখা বাঞ্ছনীয় না। শুধু লিভার রোগ না, অনেক রোগের ক্ষেত্রেই রোজা রাখা বাঞ্ছনীয় নয়।
যেসব রোগীদের লিভারে ফ্যাট বা চর্বি আছে তাদের জন্য রোজা রাখা ভাল। কারণ, যদি আমরা সত্যিকার অর্থে রোজা রাখি, রোজা রাখার মতো করে রাখি, খাবার গ্রহণে সংযমী হই, নানা ধরনের ফার্স্টফুড জাতীয় খাবার বা চর্বি জাতীয় খাবার পরিহার করি তাহলে সেটা লিভারে চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
তবে যারা লিভার সিরোসিস রোগী, যাদের লিভার সিরোসিস খারাপের দিকে আছে, অ্যাডভান্স সিরোসিস বা ফেইলিউর আছে এমন লিভার রোগীরা যদি রোজা রাখেন তাহলে ঝামেলা হয়ে যেতে পারে। প্রশ্ন করতে পারেন কেন ঝামেলা হবে?
আমরা জানি, লিভারের অন্যতম একটা কাজ হচ্ছে, আমরা যে খাবারগুলো গ্রহণ করি সেগুলো প্রসেস করে শরীরে শক্তি হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখে। কিন্তু যাদের লিভার ঠিক মতো কাজ করছে না তাদের এই কাজগুলো ঠিক ভাবে হবে না। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের রক্তে সুগারের মাত্রা নিচের দিকে নেমে যেতে পারে।
ডায়াবেটিস না থাকলেও তা ঠিকভাবে কাজ করতে পারবে না। তাই যাদের লিভার সিরোসিস, লিভার ফেইলিউর বা জটিল কোন জন্ডিস থাকে তাদের জন্য রোজা রাখা বাঞ্ছনীয় নয়।
এক কথায়, লিভার যখন সিরিয়াসলি আক্রান্ত থাকবে- লিভার সিরোসিস, লিভার ফেইলিউর, হেপাটাইটিস, লিভার ক্যান্সার- অর্থাৎ লিভারের কার্যক্ষমতা যখন স্বাভাবিক থাকবে না তখন রোজা রাখা যাবে না। অন্যথায় যাবে।
(লেখক: চেয়ারম্যান, হেপাটোলজী বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।)
শুধু স্বাদই নয়, পুষ্টিতে ভরপুর মাছের ডিম
মাছের ডিমে তেমন কোন পুষ্টি নেই! অনেকেরই এমন ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। এতে শুধু পুষ্টিই নয় মাছের ডিম খেতেও দারুণ। তাছাড়া আমাদের দেহের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সক্ষম মাছের ডিম। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক মাছের ডিমের গুণাবলি-
১. মাছের ডিমে ভিটামিন ডি থাকার ফলে হার্টের রোগীদের জন্য এটি বেশ উপকারি।
২. অ্যালঝাইমারের রোগীদের জন্য মাছের ডিম খাওয়া ভালো।
৩. উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্যও এই খাবার খুব উপকারি।
৪. মাছের ডিমে ভিটামিন এ থাকে। ফলে এটি খেলে চোখ ভাল থাকে ।
৫. মাছের ডিমের মধ্যে থাকে ভিটামিন ডি। যা হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে।
৬. ভিটামিন ডি থাকার ফলে দাঁত মজবুত ও সুস্থ থাকে।
৭. মাছের ডিম খেলে রক্ত পরিষ্কার হয় এবং হিমোগ্লোবিন বাড়ে। ফলে অ্যানিমিয়া থেকে রেহাই পাওয়া যায়।