
শিপলু জামান, ঝিনাইদহের চোখঃ
জীবনের শুরুতেই দরিদ্রতা আর নানা অসঙ্গতির সঙ্গে লড়াই করা যেন সুমির নিয়তি। নুন আনতে পান্তা ফুরায় এমন অবস্থা। এরই মাঝে নানা প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখছে সুমি। দারিদ্র্য তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। বাঁধভাঙা আনন্দের মাঝে বেদনা আর হতাশার সুর। এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফল করায় উচ্চ আকাংখা থাকলেও উচ্চশিক্ষার ব্যয় কীভাবে নির্বাহ হবে? সে চিন্তা তাড়া করে ফিরছে সুমি ও সুমির মায়ের। এ অবস্থায় মা-মেয়ে তাকিয়ে আছে সমাজের বিত্তবানদের দিকে। একটু সহানুভূতি পেলে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের তৈলকূপী গ্রামের অদম্য মেধাবী সুমির আলোকিত হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতে পারে।
বাবাকে হারিয়েছে শৈশবে, বুকে আগলিয়ে রেখে ওকে আমি এই দুই হাত দিয়ে সেলাই মেশিন চালিয়ে অনেক বড় করার চেষ্ঠা করে যাচ্ছি শেষ রক্ষা করতে পারব কিনা জানি না। আমার মেয়ে ভাল রেজাল্ট করে আমাকে খুশি করেছে, দুই শতক জমির উপর ভাঙাচোরা বসতবাড়ি ছাড়া আর আমাদের কিছুই নাই।
এমনটি বলছিল গোল্ডেন এ প্লাস প্রাপ্ত সুমির মা সাবিত্রী বিশ্বাস। সুমিকে ভাল করে পড়া শুনা করানো আমার পক্ষে সম্ভব না। সমাজের বৃত্তবান লোকদের সুমির পাশ্বে দাড়িয়ে শিক্ষা জীবনকে এগিয়ে নেওয়ার আহŸান জানান সুমির মা। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানার জামাল ইউনিয়নের তৈলকূপী গাজিপাড়া গ্রামে মৃত নারায়ন বিশ্বাস ও সাবিত্রী বিশ্বাসে একমাত্র মেয়ে সুমি বিশ্বাস।
২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় সুমি বিশ্বাস বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে। সে নলডাঙ্গা ইব্রাহিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেছিল। ২০১৬ সালে সে জেএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল। সুমি স্কুলের সকল শিক্ষকের ও সহপাঠিদের সহযোগিতার কথা স্মরন করেন।
সুমির ভবিষ্যতে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরনে ঝিনাইদহ-৪ আসনের জননন্দিত সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ঝিনাইদহ জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র, ভাইস চেয়ারম্যানসহ সকল বিত্তবানদের সূ-দৃষ্টি কামনা করছেন সুমির মা সাবিত্রী রানী বিশ^াস।
আলোকিত স্বপ্ন পূরনে সুমি সকলের নিকট দোয়া প্রার্থী।