ঝিনাইদহে আগুনে দগ্ধ শিশুর চিকিৎসার সাহায্যের আবেদন
মোঃ হাবিব ওসমান, ঝিনাইদহের চোখ
মানুষ মানুষের জন্য। আসুন আমরা শিশু শাহাবীর চিকিৎসার জন্য মানবিক সাহায্যে এগিয়ে আসি। আপনার সাহায্যে বাঁচতে পারে দরিদ্র ও নিরূপায় মায়ের ৪ বছরের শিশু ছেলে মোঃ শাহাবীর জীবন।
ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলাধীন আজমত নগর গ্রামের মোঃ লাল্টু মন্ডল ও মোছাঃ ছবুরা খাতুনের ৪ বছরের ছেলে মোঃ শাহাবির। শাহাবিরের মা মোছাঃ ছবুরা খাতুন জানায়, আমার স্বামী লাল্টু মন্ডল একজন মটর শ্রমিক সে মাগুরাতে মটর থাকে। আমার ভাসুর মিন্টু মন্ডলের সাথে আমাদের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ এবং আমার স্বামী বাইরে থাকার কারনে ভাসুর মিন্টু মন্ডল আমাকে প্রায়ই কু-প্রস্তাব দিতো। তার কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়া এবং জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আমার দু’সন্তান বড় ছেলে রাব্বি ও ছোট ছেলে শাহাবীকে হত্যার উদ্দেশ্যে গত ২০/০২/২০১৫ সাল সোম রাত ৮ টার সময় আমি আমার ২ ছেলেকে ঘরের মধ্যে রেখে আমাদের বাড়ির একটু দুরে আমার শাশুড়ির বাড়িতে দু’ছেলের জন্য ভাত আনতে যায়।
এ সুযোগে আমার ভাসুর মিন্টু ও তার স্ত্রী জাহানারা খাতুন ঘরে ঢুকে আমার দুই ছেলেকে কাঁথা দিয়ে পেচিয়ে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় বড় ছেলে রাব্বির চিৎকারে আমি এসে মিন্টু ও তার স্ত্রীকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখি। তাড়াতাড়ি কলসের পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনি বড় ছেলে কোন রকম বেছে গেলেও শিশু শাহাবীকে ঝলসানো অবস্থায় উদ্ধার করলেও তার মাথা, মূখ, দু’হাত ও পা মারাত্বকভাবে আগুনে ঝলসে যায়। আপন চাচা-চাচীর দেওয়া আগুনে শিশু শাহাবীর মূখ মন্ডল পুড়িয়া বিকৃত হয়ে যায়।
কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহসহ অনেক জায়গায় চিকিৎসা করানো হয়েছে। ঐ সময় কালীগঞ্জ থানায় মামলা করতে আসলে কর্তৃপক্ষ মামলা নেয়নি। অবশেষে গত-০৩/০৭/১৮ ইং তারিখে শাহাবীরের চাচা মিন্টু ও তার স্ত্রী জাহানার খাতুনকে আসামী করে ঝিনাইদহ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আইনের ৪ (২)(ক) নং ধারায় মামলা করা হয়েছে। মামলা করার আগে আসামীরা শাহাবীরের চিকিৎসা খরচ দিতে চাইলেও দীর্ঘদিন খরচ না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে এবং মামলা না করতে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। যার জন্য মামলা করতে দীর্ঘ সময় দেরি হয়েছে বলে জানায় অগ্নিদগ্ধ শিশুর মা সবুরা খাতুন। আদালতে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতারী পরয়ানা জারি হলেও পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করছে না। বর্তমানে আমি সহায় সম্বল যা ছিল বেঁচে এবং মানুষের সাহোয্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের বার্ণ ইউনিট এন্ড প্লাষ্টিক সার্জারী বিভাগে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করানো হয়েছে। প্রায় ৬ মাস যাবৎ শাহাবীরের চিকিৎসা চালিয়ে নিজের সহায় সম্বল যা কিছু ছিল তার সবই শেষ করে ফেলেছি।
সর্বশেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের বার্ণ ইউনিট এন্ড প্লাষ্টিক সার্জারী বিভাগে চিকিৎসকরা অভিমত দেন তাকে সূস্থ্য করতে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা খরচ হবে তাহলে আরোগ্য লাভ সম্ভব। কিন্তু আমাদের পক্ষে তার চিকিৎসার ব্যয়ভার নির্বাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। শাহাবীরের চিকিৎসার জন্য তার অসহায় বাবা-মা সমাজের সকল হৃদয়বান দানশীল ও বিত্তবান ব্যক্তিদের আন্তরিক সাহায্য কামনা করেছেন।
বিকাশ নাম্বার – ০১৭৪৫-১৬ ৪৪ ৮২