ঈদে ঝিনাইদহের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভীড়
ঝিনাইদহের চোখঃ
ঈদুল ফিতর উদযাপন হয়েছে গত বুধবার। ঈদের দিন বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঝিনাইদহের অধিকাংশ পর্যটনকেন্দ্রে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। কিন্তু ঈদের পরদিন থেকে আবহাওয়া ভালো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব পর্যটনকেন্দ্রে দর্শনার্থীদের উপস্থিতিও বাড়তে থাকে। গতকালও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি।
ঈদের চতুর্থ দিন গতকাল শহরের জোহান ড্রিম ভ্যালি পার্ক, তামান্না ওয়ার্ল্ড ফ্যামিলি পার্ক অ্যান্ড পিকনিক স্পট, প্রান্তিক শিশু পল্লীতে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। পরিবার-পরিজন নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ভিড় করেছিল ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে।
গতকাল ঝিনাইদহের বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, নানা বয়সী নারী-পুরুষ, শিশু বিভিন্ন রাইডে ওঠা, ফুচকা-চটপটিসহ বিভিন্ন খাবার খেয়ে সময় কাটাচ্ছে। ট্রেন, নাগরদোলা, রকেট, হানি সুইংসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় রাইডে চড়ছে শিশুরা।
দর্শনার্থীরা বলছেন, ঈদের দিন ও দ্বিতীয় দিন বৈরী আবহাওয়ার কারণে বাড়ি থেকে বের হতে পারেননি। আবহাওয়া একটু ভালো হওয়ায় গতকাল পরিবার-পরিজন নিয়ে পর্যটনকেন্দ্রে ঘুরতে এসেছেন তারা।
যশোর থেকে আসা রাশেদ নামে এক দর্শনার্থী বলেন, ঈদের দিন বৃষ্টির কারণে বাড়ি থেকে বের হতে পারিনি। আমাদের ইচ্ছা ছিল ঈদের দিন পরিবার-পরিজন নিয়ে ঝিনাইদহে ঘুরতে আসার। কিন্তু সেটা না হওয়ায় পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে হয়েছে। গতকাল আবহাওয়া ভালো ছিল, তাই পরিবার নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছি।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থেকে আসা আব্দুল জলিল বলেন, সারা বছর ব্যস্ততার কারণে পরিবারকে সময় দিতে পারি না। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছি। তাই শিশুদের নিয়ে একটু বাইরে বের হওয়া। এখানে এসে শিশুরা খুব আনন্দ করছে।
মাগুরা থেকে আসা উম্মে সায়মা নামে এক গৃহিণী বলেন, স্বামী ঢাকায় চাকরি করেন। তাই বাড়িতে খুব বেশি থাকা হয় না। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন। এজন্য তাকে নিয়ে বাইরে বেরিয়েছি। বিভিন্ন রাইডে উঠেছি। ফুচকা, চটপটি, আইসক্রিম খেয়েছি। আমার শিশুরাও খুব আনন্দিত।
জোহান ড্রিম ভ্যালি পার্কের স্বত্বাধিকারী মোয়াজ্জেম হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, ঈদের দিন বৃষ্টির কারণে দর্শনার্থী কম ছিল। কিন্তু ঈদের পরের দিন থেকে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার দর্শনার্থী এখানে আসছেন। আশা করছি, ঈদের এ কয়েকদিনে ৩০ হাজার লোকের সমাগম হবে।