বন্ধু না শত্রু? জেনে নিন চেনার উপায়
#ঝিনাইদহের চোখঃ
যার সবকিছু আছে অথচ কোনো বন্ধু নেই, তার বেঁচে থাকাটাও যেন দুর্বিষহ! বন্ধুত্ব হলো স্রষ্ট্রার কাছ থেকে পাওয়া মূল্যবান উপহার। কারণ বন্ধুবিহীন পানসে জীবন কাটানো সত্যিই কষ্টকর। আমাদের চারপাশে অনেক পরিচিত মুখই রয়েছে। কিন্তু তাদের সবাই আমাদের বন্ধু নয়। কেউ শুধুই পরিচিত, কারো সঙ্গে শুধু ‘হাই-হ্যালো’র সম্পর্ক। এর মধ্যে থেকে কেউ কেউ হয়ে ওঠে বন্ধু।
আমরা তাকেই বন্ধু মনে করি, যার কাছে নিজের কথা অকপটে বলা যায়। অন্য দশজনের চেয়ে যে আপনাকে একটু হলেও বেশি মূল্যায়ণ করে। কিন্তু শুনতে খারাপ লাগলেও এটা সত্যি যে, এই বন্ধুত্বের মুখোশেই কেউ কেউ শত্রুতা লালন করে! তার বাহ্যিক আচরণে আপনি হয়তো বুঝতেও পারবেন না মনে মনে সে কতটা বিষ ধারণ করে আছে আপনার সম্পর্কে। এই মানুষগুলোকে কিভাবে চিনবেন? জেনে নিন-
বন্ধুদের মধ্যে ইয়ার্কি-ঠাট্টা থাকেই। কিন্তু লক্ষ্য করে দেখবেন, এরা জনসমক্ষে আপনাকে মজা করেই অপমানজনক কথা বলেন। আপনার ভাবমূর্তি অন্যদের চোখে নীচে নামিয়ে এরা আনন্দ পান।
এদেরকে ভালো সময়ে আপনি পাবেন। রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে, সিনেমা দেখতে কিংবা ঘুরতে গেলে এদের পাশে পাবেন। কিন্তু এরা নিজেদের সময়ের বাইরে গিয়ে কখনওই আপনার সঙ্গে মিশবেন না। বিশেষ করে খারাপ সময়ে এদের দেখা পাওয়া যায় না।
কোনো সাফল্য এলে মানুষের স্বভাব তা বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়া। কিন্তু লক্ষ্য করে দেখবেন আপনার কোনো সাফল্য বা খুশিতে এরা মোটেও তত উচ্ছ্বসিত নন। খুব একটা খুশিও নন।
তারা কারণে অকারণে আপনার খুঁত ধরতে ব্যস্ত থাকেন। আপনার ভাবনাচিন্তা, মতামত, সবকিছুর মধ্যেই যেনতেন প্রকারেণ খুঁত বের করতে পারলেই এরা খুশি।
নিজের বিপদ হতে পারে ভেবেও আপনি বন্ধুর হয়ে সব সময়ে কথা বলেন। কিন্তু লক্ষ করে দেখবেন এরা এটা কখনোই তা করেন না। নিজেকে ঝামেলামুক্ত রাখতে পছন্দ করেন।
এসব দেখেশুনে কি সম্পর্ক শেষ করে দেবেন? একদমই তা করতে যাবেন না। বরং আপনিও নিজেকে নিরাপদে রাখুন, তাদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যান। হুটহাট নিজের গোপন কোনো বিষয় বা একান্ত কথা তাদের সঙ্গে বলতে না যাওয়াই ভালো। ততটুকুই প্রশ্রয় দিন, যতটুকুতে নিজের ক্ষতি হওয়ার ভয় না থাকে।