ঝিনাইদহ ঐতিহ্যবাহী ছবিঘর ছিনেমা হলের জমি নিয়ে বিরোধ তুঙ্গে
#ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহ শহরের ঐতিহ্যবাহী ছবিঘর সিনেমা হলের জমি নিয়ে ওয়ারেশদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ সুবিধা নিতে অন্য শরীকের ওয়ারেশ হাজী রায়হান উদ্দীনের ছেলে রইচ উদ্দীন নিস্কন্টক জমি নিয়ে আদালতে মামলা করে জমি বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে অন্য তিন শরীকের অংশীদাররা জমি বিক্রি করতে পারছেন না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জমির মালিক রিজিয়া খাতুন, সাহার বানু ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নজীর উদ্দীনের ওয়ারেশরা এই অভিযোগ করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে আমান উল্লার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রবিউল ইসলাম রবি। এ সময় নুরুল ইসলাম, আমেনা খাতুন, শরিফুল ইসলাম, পাপিয়া খাতুন, নুরজাহান, ফিরোজা খাতুন, ছামসুন্নাহার, আয়েশা খাতুন ও হিমেলসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ঝিনাইদহ শহরের পৌরসভাধীন ১২৫ নং মৌজার ১৬৭৩ নং খতিয়ান ভুক্ত ৮০৯ নং দাগে ৬৩.৫০ শতক জমি রয়েছে। এই জমির মালিক হচ্ছে চারজন।
এই জমির ওপর অনেক বছর ধরে ছবিঘর সিনেমা হল ছিল। ব্যবসা ভাল না হওয়ায় সমুদয় জমি বিক্রির জন্য সবাই বসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এখন জমি বিক্রিতে বাধা সৃষ্টিকারী রইচ উদ্দীনও স্বাক্ষর করেন। জমি বিক্রির সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিলে রায়হানের ছেলে রইচ উদ্দীন জমির পুর্বপাশ থেকে ৯টি দোকান ঘর ও আলীফ বিস্কুট ফ্যাক্টারীসহ মুল্যবান অংশ দাবি করে।
জমি না দিলে তিনি হুমকি ও তার ছেলে মাগুরা সদর থানায় এসআই জুবায়েরকে লেলিয়ে দেন। জুবায়ের পুলিশকে প্রভাবিত করে জমির শরীকদের ক্রস ফায়ারের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, রইচ উদ্দীন গত ২৫শে মে নিস্কন্টক জমি নিয়ে আদালতে দেওয়ানী মামলা (মামলা নং ৩৮/১৯) করে জমি বিক্রির পথ রুদ্ধ করে দেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তারা প্রশাসনে কাছে সুবিচার চেয়ে শরীকদের জমি সমানভাবে বন্টন ও বিক্রির সুব্যবস্থা করার দাবি জানান।
এদিকে সংবাদ সম্মেলন করার কারণে মুক্তিযোদ্ধা আনসার উদ্দীনের ছেলে আমান উল্লাহকে প্রতিপক্ষরা মোবাইলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন বলেও তিনি দাবি করেন।