ঢাকায় যাওয়ার টাকা নেই বলেই কী অন্ধ হয়ে যাবে ছোট্ট আসিফ??
#আসিফ ইকবাল কাজল, ঝিনাইদহের চোখঃ
চোখে জন্মগত ছানি নিয়ে ভুমিষ্ট হওয়া ৬ মাসের আসিফকে নিয়ে তার দরদ্রি পিতা মাতার দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। টাকার অভাবে ঢাকায় যেতে পারছে না। আসিফের ফ্রি অপারেশন করা হবে ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে। সেখানে গত ২৩ মে শিশুটির যাবতীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা সম্পন্ন করে ঝিনাইদহে ফিরলেও যাতায়াত ভাড়া, ওষুধ ও থাকা খাওয়ার অভাবে সন্তানের অপারেশনের জন্য তারা ঢাকায় যেতে পারছেন।
শিশু আসিফ কালীগঞ্জ উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের অলিয়ার রহমান ও রত্মা খাতুন দাম্পতির ছেলে। থাকেন ঝিনাইদহ শহরের পাবহাটী মাঠপাড়ার একটি বস্তিতে। আসিফের পিতা দিনমজুর অলিয়ার রহমান জানান, কাজের সন্ধানে ৯ মাস হলো তারা গ্রাম ছেড়ে ঝিনাইদহ শহরে এসেছেন। এখানে এসে তিনি লেবারের কাজ করেন। প্রতিদিন তার কাজ মেলে না। তারপরও ৬’শ টাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে থাকেন বস্তিতে। ঘর দিয়ে পানি পড়ে। দিনের বেলায় সুর্য্য দেখা যায়। অতি কষ্টের সংসার তাদের।
আসিফ ভুমিষ্ট হওয়ার পর চোখের সমস্যা দেখা দেয়। জন্মের ৫ মাস পর গত ২০ মে তারা আসিফকে ঝিনাইদহ চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে যান। ডাক্তার আব্দুর রউফ শিশু আসিফের চোখ দেখে ঢাকায় রেফার্ড করেন। ধরা পড়ে চোখে জন্মগত ছানি।
গত ২৩ মে আসিফকে নিয়ে অলিয়ার ও রন্তা ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে যান। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে খরচ হয় ৮ হাজার টাকা। দায় দেনা করে সেই টাকা তারা জোগাড় করেন। এখনো দেনার টাকা পরিশোধ হয়নি। ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের চিকিৎসকরা যে কোন রবি ও বুধবারে অপারেশনের জন্য শিশু আসিফকে নিয়ে যেতে বলেছেন। এক মাস পার হলেও তারা যাতায়াত ভাড়া, ওষুধ ও থাকা খাওয়ার টাকা জোগাড় করতে পারেন নি।
এ অবস্থায় শিশু আসিফের চিকিৎসার জন্য যতসামান্য আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন অলিয়ার ও রত্মা দম্পত্তি। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ আব্দুর রউফ জানান, বেসরকারী ক্লিনিকে জন্মগত ছানি অপারেশ করতে ৫০/৬০ হাজার টাকা খরচ হয়। পরিবারটি দরিদ্র বলে আমরা ঢাকার সরকারী হাসপাতালে রেফার্ড করি।
তিনি বলেন, ঝিনাইদহ চক্ষু হাসপাতালে শিশুদের অপারেশন করার মতো প্রযুক্তি নেই।