#শিপলু জামান, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ হাসপাতাল সড়কটি একটি ব্যাস্ততম সড়ক। এই সড়কে প্রতিদিন আনুমানিক ৩ হাজার মানুষ চলাচল করে ।
এছাড়া এই ব্যাস্ততম সড়কে চলে ভ্যান, অটো, প্রাইভেট, ট্রাক সহ ইজিবাইক যানবাহন। ব্যাস্ততম এই সড়কটির কালীগঞ্জ বাজার থেকে এক কিলোমিটার দূরে হাসপাতাল সড়কের ৩নং ওয়ার্ডের ফয়লা দাসপাড়া মোড় নামক স্থানে একটি কালভার্ট ভেঙ্গে পড়ছে দিনে দিনে।
সড়কের মাঝ খানে বড় গর্ত তৈরী হয়েছে কিন্তু রাত্রে অনেক সাইকেল ভ্যান সহ বিভিন্ন যানবাহন এবং সড়কে চলাচলরত মানুষের ঐ ভাঙ্গা স্থানে পড়ে যেতে দেখা যাচ্ছে । পথচারীদের চরম দুর্ভোগে পৌঁছে দিয়েছে সড়কের ঐ স্থানের ক্ষতটি। দীর্ঘ দিন ধরে ঐ অবস্থায় পড়ে থাকায় সড়কে চলাচলকারী যানবাহন সহ পথচারীদের গলার কাটা হয়ে আছে সড়কটি। কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এটি একটি মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এলাকাবাসির অভিযোগ সড়ক সংস্কার নামে দীঘদিন ধরে খুড়াখুড়ি করে ফেলে রাখা হয়েছে অনেকটাই দায়ী।
সরেজমিনে দেখা যায়, হসপাতাল সড়কটি ব্যস্ততম হলেও এটি একটি গ্রামীন সড়ক। এই সড়কে প্রতিদিন শত শত ছোট বড় যানবাহন চলাচল করে। পায়ে হেটে এবং দু’চাকার বাইসাইকেল চলাচল করে অবাধে। গত কয়েক মাস ব্যাপী এই সড়কের ফয়লা দাসপাড়া মোড় নামক স্থানের একটি কালভার্ট একটু একটু করে ভাংতে ভাংতে বড় একটি গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
সড়কে চলাচল কারী বাপ্পা রাজ বলেন, সড়কটিতে বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত এইখানে মনের অজান্তেই দূর্ঘটনায় প্রতিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ সহ বিভিন্ন ছোট বড় যানবাহন ।
নিরাপদ সড়ক চাই(নিসচা) কালীগঞ্জ উপজেলা আহবায়ক বি এম কামরুজ্জামান বলেন, কর্তৃপক্ষ যেন অনোতিবিলম্ভে সড়কের কালভার্টটি দ্রæত সংস্কার অথবা নতুন করে তৈরীর করে মানুষের চলাচলের পথ সুগম করে দেন। তা না হলে ভাঙ্গাচোরা ব্যস্ততম এই সড়ক অনেক বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে । এই সড়কের মাঝে এমন একটি ক্ষত গত কয়েক মাসেও কোন রকম মেরামত বা কর্তৃপক্ষের নজর না পড়ায় এক প্রকার হতাশা ব্যক্ত করেন এই সড়কে চলাচলকারী জন সাধারণ সহ স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ পৌর মেয়র আশরাফুল আলম বলেন, সড়ক সংস্কার কাজ চলছে অতি দ্রæত সমস্যার সমাধান করা হবে ।