পুড়ে গেলে তাৎক্ষণিক ভাবে যা করবেন
#ঝিনাইদহের চোখঃ
দুর্ঘটনা বলে কয়ে আসে না। রান্না করতে গিয়ে কিংবা যে কোনোভাবেই আগুনে দগ্ধ হতে পারেন আপনি। আগুনে দগ্ধ হলে আমরা ঘাবড়ে যরে। তাৎক্ষনিক ভাবে কি করতে হবে আমরা তা বুঝে উঠতে পারিনা।
আগুনে পুড়ে যাওয়া স্থানের জন্য তাৎক্ষনিক কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা প্রয়োগ করে ক্ষতির পরিমান ও জ্বালা-পোড়া কমানো যায়। চলুন জেনে নেয়া যাক তাৎক্ষণিক উপায়গুলো :
ঠান্ডা পানিঃ কোথাও পুড়ে গেলে প্রথমেই সেখানে খুব ভালো করে ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে। কিন্তু, মনে রাখতে হবে কখনোই বরফ ঘষা যাবে না। এতে আরও বেশি ক্ষত হবে।
টুথপেস্টঃ যে স্থানে পুড়ে গেছে সে ক্ষত স্থানে টুথপেস্ট লাগালে স্বস্তি ও শতভাগ উপকার পাওয়া যাবে।
টি’ব্যাগঃ শরীরের কোনো অংশ সামান্য পুড়ে গেলে সে স্থানে কয়েকটি ঠান্ডা ভেজা টি ব্যাগ ধরে রাখতে হবে। কারণ চা পাতায় আছে ট্যানিক এসিড যা ত্বককে শীতল করে এবং ত্বকের জ্বালা ভাব ও অস্বস্তি অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
কলার খোসাঃ কলার খোসা জ্বালা-পোড়া কমাতে খুবই উপকারি। পুড়ে যাওয়া স্থানে কলার খোসা এন্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে।
ডিমের সাদা অংশঃ শরীরের যে স্থানে পুড়ে গেছে সেখানে ডিমের সাদা অংশ দিলে উপকার পাওয়া যাবে। ডিমের সাদা অংশ পোড়া ক্ষত দ্রুত সারিয়ে দেয় এবং ত্বকে পোড়া দাগ পড়তে দেয় না।
অ্যালোভেরাঃ পুড়ে যাওয়া স্থানে অ্যালোভেরার পানি লাগালে জ্বালা-পোড়া কমে যাবে এবং ঠাণ্ডা অনুভব হবে। অ্যালোভেরার রস ক্ষত শুকাতে অসাধারণ কাজ করে।
ভিনেগারঃ
ভিনেগার হলো প্রাকৃতিক অ্যাস্ট্রিনজেন্ট ও অ্যান্টিসেপ্টিক। তাই পুড়ে যাওয়া যায়গায় ভিনেগার ব্যবহার করলে বেশ আরাম পাওয়া যায়। ভিনেগারের সাথে সম পরিমাণে পানি মিশিয়ে নিতে হবে। এবার এই ভিনেগার মেশানো পানি দিয়ে পোড়া জায়গা কিংবা ক্ষত স্থানটি ধুয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণটি ব্যাথা কমিয়ে দেবে এবং ত্বকে কিছুটা স্বস্তি মিলবে।
দই বা কাচা দুধঃ দই বা কাচা দুধ ক্ষতের জ্বালা-পোড়া দ্রুত কমিয়ে দেয়। পুড়ে যাওয়া জায়গায় ৩০-৪০ মিনিট দই দিয়ে রাখতে হবে। এতে জ্বালা-পোড়া তো কমবেই, ফোসকা না পড়াতে সাহায্য করবে।
মধুঃ মধু এন্টিসেপটিক হিসেবে দারুণ কাজ করে। পুড়ে যাওয়ার সাথে সাথে মধু লাগাতে পারলে জ্বালা-পোড়া অনেক কমে যাবে। সঙ্গে পোড়া দাগও হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।
অলিভ অয়েলঃ অলিভ অয়েলও পোড়া ঘায়ের জন্য বেশ উপকারি। পোড়া ঘা শুকানোর সময় চামড়া টানটান করে, এ সময় অলিভ অয়েল দিলে চামড়া মসৃণ থাকে। কষ্ট কম হয়।
আগুনে পুড়ে গেলে সবগুলোই করতে হবে এমন নয়। আপনার হাতের কাছে উপরোক্ত যে উপাদান পাবেন সেটিই ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এবং পোড়া যদি বেশি হয় তবে উপস্থিত এই কাজ গুলোর যেটা সম্ভব হয় সেটা করেই ডাক্তারের কাছে বা হাসপাতালে যাওয়ার চেষ্টা করুন।