মি টু এবং কন্যাশিশুর সুরক্ষা——তাহেরা বেগম জলি
মি টু এবং কন্যাশিশুর সুরক্ষা——তাহেরা বেগম জলি-
**************************
তসলিমা নাসরিন যখন সৈয়দ শামসুল হকের দিকে আঙ্গুল তুললেন, সেদিন তিনি একা হয়ে গিয়েছিলেন। অথচ বুঝতে অসুবিধা হয়না, ঘটনাটা ছিলো নির্জলা সত্য। ভেবে ভালো লাগছে আমাদের মেয়েরা আজ যৌনরোগীদের কুৎসিত চেহারা সামনে আনা শুরু করেছে। তবে একটা বিষয় কি আমাদের নজর এড়িয়ে যাচ্ছে? শিশুকন্যারাও তাদের নিকটাত্মীয় দ্বারা যে যৌন হয়রানির শিকার হয়। দুইদিন আগে ইশরাৎ শিউলীর একটা পোস্ট পড়ছিলাম। বেশকিছুদিন আগে সে ওটা প্রকাশ করেছিলো।
অনেকের মত তা আমার নজরও এড়িয়ে গেছে। মিটু এর এই ঝড়ের সময়ে তা আমার কাছে যেন নতুন চেহারা নিয়ে দেখা দিলো। দেখে মনে হোলো তাইতো, শিশুকালে কন্যারা যে যৌন নিপিড়নের শিকার হয়, তাতো মিথ্যা নয়। কিন্তু তা তারা প্রকাশ করতে পারেনা। একসময় আমরা পারিনি সমাজের চাপে। আর শিশুকন্যাদের বিষয়টা বুঝতেও সময় চলে যায়। বা পরিবরের মানুষও বিষয়টা ধরতে পারেননা।
কিন্তু তারমধ্যেই ক্ষতি যা হবার তা হয়ে যায়। ইশরাৎ শিউলির ঘটনাটা প্যড়লেই বোঝা যায়, আমাদের শিশুকন্যারা একটা দানবীয় পরিবেশেই বেড়ে উঠছে। শিশুর প্রতি যৌন আক্রমন ঘরে ঘরেই আছে। আজ যখন সময় এসেছে যৌন অপরাধী সনাক্ত করার, তখন এই আন্দোলন একেবারে পরিবারের মধ্যে নিয়ে যেতে পারলে এই প্রচেষ্টা তার পুর্নাঙ্গ চেহারা নিয়ে দাঁড়াবে। অসম্ভব নয়, এই আন্দোলন গোড়া পত্তন করতে পারে নারীর সার্বিক শৃংখল মুক্তির