ঝিনাইদহ সদর

পিত্তথলিতে পাথর : লক্ষণ ও করণীয়

#ঝিনাইদহের চোখঃ

দীর্ঘসময় যাবত না খেয়ে থাকলে আর বছরের পর বছর খাবার অনিয়ম করে খেলে, পিত্তথলির পিত্তরস ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। তখন তৈরি হয় পিত্তথলির পাথর। এই পাথর শুধু খাবারে অনিয়মের জন্য নয়; ভেজাল খাবার, রক্তে চর্বির মাত্রা বৃদ্ধি (বিশেষত দৈহিক শ্রমের অভাবে), পারিবারিক কারণেও হতে পারে।

সাধারণত ওপরের পেটের ডান দিকে তীব্র ব্যথা, জ্বর, বমি হলেই আমরা ধরে নেয়া হয় এটা পিত্তথলির পাথরের লক্ষণ। মেয়েরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। কারণ দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার প্রবণতা মেয়েদের মধ্যেই বেশি। তবে পাথর হলেই এ রকম ব্যথা হবে তা নয়। কিন্তু সম্ভাবনা থেকেই যায়।

পিত্তপাথর অনেক ধরনের জটিলতা তৈরি করতে পারে, এমনকি যথাসময়ে চিকিৎসা না করা হলে ক্যান্সারও হতে পারে। সাধারণত নিচের জটিলতাগুলো দেখা যায়।

পিত্তথলিতে পাথর হলে তার লক্ষণ

১. ওপরের পেটের ডান দিকে তীব্র ব্যথা ডান কাঁধে ছড়ায় এবং রোগীর বমি হয়।
২. অনেক সময় কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসতে পারে। এ লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৩. তৈলাক্ত খাবার, চর্বিজাতীয় খাবার বা মাংস খেলে এ রকম ব্যথা হতে পারে। তবে গ্যাসের ওষুধ খেলে এটি ভালো হয়ে যায়।
৪. মধ্য পেটে ব্যথা হয়। মধ্য পেটে ব্যথা হয়ে একেবারে পেছন দিকে চলে যায়।
৫. জ্বরের সঙ্গে বমি হতে পারে। রোগী এক্ষেত্রে টক্সিক হয়ে যেতে পারে।
৬. জ্বরের সঙ্গে জন্ডিস হতে পারে। এ ক্ষেত্রে যা হয় তা হলো পাথর হয়তো পিত্তনালিতে চলে গেছে। সে জন্য জ্বর হয়ে কোলেনজাইটিস নিয়ে আসতে পারে।

এগুলোর মধ্যে কোনো একটি লক্ষণ থাকলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। একেবারেই অবহেলা করবেন না বা ফেলে রাখবেন না। অল্প সমস্যাতে গ্যাসের ওষুধ খাওয়া কোনো স্থায়ী সমাধান নয়।

প্রতিরোধ

১. অতিরিক্ত ওজন ধীরে ধীরে কমানো।
২. অধিক শ্বাসযুক্ত খাবার গ্রহণ যেমন- শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি।
৩. অধিক পরিমাণ উদ্ভিজ্জ তেল বা ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ তেল গ্রহণ যেমন- সূর্যমুখী তেল, অলিভ অয়েল।
৪. অধিক প্রাণিজ চর্বি গ্রহণ এড়িয়ে চলা।
৫. ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ২.৫-৩ লিটার পানি পান করা।
৬. নিয়মিত দৈহিক ব্যায়াম করা (প্রাপ্ত বয়স্কদের)।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button