শেষ পর্যন্ত ঝিনাইদহের সেই বাদল মারাই গেল
#ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের পানামী গ্রামে গত ১৪ দিন আগে সন্ত্রাসীরা বাদল নামে একজনের দুটি অন্ডকোষ কেটে নেয়। ১৪ দিন চিকিৎসার পর শেষ পর্যন্ত রাত ৩ টায় সে মারা যায়।
উল্লেখ্যঃ মধ্যরাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বের হন বাদল কুমার বিশ্বাস (৩৬)। উঠোন পার হয়ে কলপাড়ে আসা মাত্রই কে বা কারা তার চোখ বেধে ফেলে। এরপর তাকে একটি কলাক্ষেতে নিয়ে গিয়ে নির্দয় ভাবে দুইটি অন্ডকোষ কেটে দেয় দুর্র্বৃত্তরা।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে এ ভাবেই নিজের অন্ডকোষ কাটার তথ্য জানান বাদল কুমার। বাদল ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের পানামী গ্রামের কুন্ডুপাড়ার নির্মল কুন্ডু বিশ্বাসের ছেলে। গ্রামবাসি জানায় বাদল এক সময় গোয়ালপাড়া বাজারে মিষ্টির দোকানে কাজ করতো।
দুই মাস আগে তার স্ত্রীর মৃত্যু হলে বাদল মানসিক রোগীতে পরিণত হয়। পিতা নির্মল কুন্ডু বিশ্বাস জানান, রাত ৩টার দিকে উঠে দেখি ঘরের দরজা খোলা। এরপর বাদলকে খুজতে থাকি। রাতে তাকে কোথাও খুজে পায়নি। সকালে বাড়ির পাশের একটি কলা বাগানে রক্তাক্ত অবস্থায় বাদলকে দেখে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। কারা এবং কেন বাদলের অন্ডকোষ কেটে নিয়েছে তা নির্মল কুন্ডু বিশ্বাস জানাতে পারেনি।