ঝিনাইদহে কলেজ ছাত্রী অপহরনের ১২ ঘন্টা পর উদ্ধার, আটক ১
#মিশন আলী, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রীকে (১৭) অপহরনের ১২ ঘন্টা পর তাকে উদ্ধার সহ অপহরনকারী মেহেদী হাসান নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার দুপুরে কলেজ থেকে ফেরার পথে ওই ছাত্রী অপহৃত হয়। পরিবারের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ওইদিন রাত সাড়ে ১১ টার দিকে যশোরের খড়কী এম এম কলেজের পিছনে একটি বাড়ি থেকে তাদেরকে আটক করে। পরদিন সোমবার দুপুরে ওই ছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষার জন্য তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ বারবাজার ডিগ্রি কলেজের ইন্টার পড়ুয়া অপহৃত ছাত্রীর বাড়ী উপজেলার বারবাজার বেলাট গ্রামে।
থানা পুলিশ ও অপহরনের শিকার ছাত্রীর ভাই বেলাট গ্রামের রাসেল হোসেন জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় রোববার সকালে তার বোন বাড়ি থেকে কলেজে আসে। দুপুরে কলেজ ছুটির পরও সে বাড়িতে ফিরে না যাওয়া তারা কলেজ সহ অন্ন্যান্য স্থানে খোজাখুজি করতে থাকে। অনেক খুজেও তাকে না পেয়ে বিকালে তারা নিখোজের বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করেন।
বারবাজার সূবর্ণসারা পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ ছবেদ আলী জানান, কলেজ ছাত্রী নিখোজের এমন একটি অভিযোগ পেয়েই তারা বিভিন্ন স্থানে খোজ খবর নিতে থাকেন। তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, অপহরনকারীচক্র যশোরের খড়কি এম এম কলেজের পিছনে একটি বাড়ীতে ওই ছাত্রীকে আটকে রেখেছে। এমন সংবাদেই পুলিশ রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ওই স্থানে অভিযান চালিয়ে ছাত্রীকে উদ্ধার সহ অপহরনকারীচক্রের সদস্য মেহেদী হাসানকে আটক করে। আটক মেহেদীর বাড়ী যশোরের খড়কী এলাকায়।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ ইউনুচ আলী জানান, রোববার রাতেই ছাত্রীটিকে উদ্ধার সহ অপহরন চক্রের এক সদস্যকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সোমবার দুপুরে ওই ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানাতে একটি অপহরনের মামলা হয়েছে।