#ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ ওয়াপদা খালটি এখন মৃত প্রায় । দখলদাররা অবৈধভাবে খালের দুপাশে বাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মান করেছে বছরের পর বছর ধরে। অবশিষ্ট অংশও ময়লা আবর্জনা দিয়ে ভরাট করার পায়তারা চলছে। বর্জ্য ফেলায় দূর্গন্ধ সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ফলে দুপাড়ের বাসিন্দাদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঐ অঞ্চলটি বর্তমানে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পানি নিষ্কাসনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষকাল আসলেই পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে শহরের একাংশ।
জেলা পরিষদ সদস্য সোহেল আহমেদ জানান, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের প্রান কেন্দ্র দিয়ে বয়ে যাওয়া ৩ কিঃ মিঃ ওয়াপদা খালটি। শহরের আড়পাড়ার গ্রামের বোষ্টম পাড়া উৎপত্তি স্থল এখান থেকে মহিলা কলেজের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়ে হাসপাতালের নিকটবতী চিত্রা নদীতে মিশেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ার কারনে আগাছা ও ঘন বন জঙ্গলে পরিপূর্ন হয়ে গেছে বোঝার উপায় নেই যে এটা একটা খালি। দুপাড় দখল করে বড় বড় ইমারত আর দোকান পসরা বসিয়েছে দখলদাররা।
অন্যদিকে ময়লা,আবর্জনা আর বর্জ্য ফেলে পরিবেশন দুষন হচ্ছে।মসা মাছি সহ নানা রোগ ব্যাধীতে আক্রান্ত হচ্ছে এই অঞ্চলের মানুষ। বর্ষাকাল এলেই চিত্র পাল্টে যায়,খাল দিয়ে পানি নদীতে প্রবাহের উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায় খালের দুকুল ছাপিয়ে বসত বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ে তলিয়ে যায় শহরের নিম্নাঞ্চল।
খাল পাড়ের মানুষের অভিযোগ, এই সব জলাশয় গুলো তদারকি করার কেউ না থাকায় যার যা ইচ্ছে করছে।
কালীগঞ্জ পৌরসভা মেয়র আশরাফুল আলাম আশরাফ জানান, অচিরেই এলাকাবাসীর দাবী প্রধান মন্ত্রীর ঘোষনানুযায়ী পূরণ করা হবে। সকল জলাশয় দখলমুক্ত করে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে হবে। এই নীতি অনুসারে খালটি অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে পূনরায় খনন করে পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার ব্যবস্থা নেয়া হবে।