খাবার ও পানীয় গ্রহণ যখন ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে
দুনিয়ার প্রতিটি কাজই ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে, যদি তা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দেখানো পদ্ধতিতে করা হয়। খাবার কিংবা পানীয় গ্রহণেও রয়েছে হাদিসের নির্দেশনা। যা পালনে খাবার গ্রহণও ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে।
খাবার কিংবা পানীয় গ্রহণে এমন কিছু কাজ আছে যা পালন করা কষ্টকর নয়। প্রচলিত এ কাজগুলো নিয়ম মেনে পালন করলেই তা ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে।
খাবার গ্রহণে করণীয়
> খাবার গ্রহণের আগে উভয় হাত (কব্জি পর্যন্ত) ও মুখমণ্ডল ভালোভাবে ধোয়া। (তিরমিজি, আবু দাউদ)
> টেবিল-চেয়ারে খেতে বসলেও পা থেকে জুতা খুলে রাখা।’ (মেশকাত)
> বিসমিল্লাহ বলে খাবার প্লেটে নেয়া এবং খাবারের বড় ডিশ বা পাত্র থেকে যার যার সামনের দিক থেকে খাবার নেয়া এবং বিসমিল্লাহ বলে খাবার খাওয়া শুরু করা।’ (বুখারি)
> খাবার সময় কোনো খাদ্যবস্তু পাত্র থেকে পড়ে গেলে তা তুলে পরিস্কার করে নেয়া।’ (ইবনে মাহাজ)
> বড় পাত্র থেকে খাবার গ্রহণেও ডান হাত ব্যবহার করা।’ (বুখারি ও মুসলিম)
> ডান দিক থেকে খাবার পরিবেশন শুরু করা।’ (বুখারি)
> পরহেজগার ও প্রবীণ ব্যক্তি থেকে খাবার পরিবেশন শুরু করা। (মুসলিম)
> খাবার গ্রহণ শেষে প্লেট বা পাত্রের তলা ভালোভাবে চেটে খাওয়া।’ (তিরমিজি)
> খাবারের পর ভালোভাবে হাত পরিস্কার করা।’ (তিরমিজি, আবু দাউদ)
পানীয় গ্রহণে করণীয়
> যে কোনো পানীয় বসে পান করা সুন্নাত। তবে ঝমঝমের পানি দাঁড়িয়ে পান করা।
> ডান হাতে পানীয় গ্রহণ করা।
> পানপাত্র ভাঙ্গা হলে ভাঙা অংশে মুখ না লাগিয়ে পান করা।
> পানীয় ৩ বারে অল্প অল্প করে পান করা।
> পানীয় গ্রহণের শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ এবং শেষে ‘আলহামদুল্লিাহ’ বলা।
> নিজে পান করার পর অন্য জনকে দিতে হলে ডান পাশের জনকে দেয়া। তবে অনুমতি সাপেক্ষে বাঁয়ের জন্যকেও দেয়া যায় ।
> যে পাত্রে বেশি পানীয় থাকে, সে পাত্রে মুখ লাগিয়ে পান না করা।
> দুধ পান করার পর কুলি করে নেয়া।
তবে খাবার ও পানীয় গ্রহণে তা ঢাকা অবস্থায় আছে কিনা তা খেয়াল রাখা জরুরি। খাবার ও পানীয় গ্রহণের ক্ষেত্রে উপরোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রেখে খাবার গ্রহণ ও পান করলে তা ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুন্নাতের ওপর আমল করে খাবার ও পানীয় গ্রহণে সব কাজকে ইবাদতে পরিণত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।