কালীগঞ্জ

বাঁচতে চায় ঝিনাইদহের শামিম, মানবিক আবেদন

#মোঃ হাবিব ওসমান, ঝিনাইদহের চোখঃ

দরিদ্র দীন মজুরের এক মাত্র ছেলে শামিম, সংসারের একটু সূখ শান্তি এবং মা-বাবা, স্ত্রী আর ছোট দু’বোনে মূখে দু’বেলা দু’মুঠো ভাত ও কাপড় দেবার জন্য টাকা পয়সা ধার দেনা করে সিঙ্গাপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টার থেকে ট্রেনিং করে।

শামিম ট্রেনিং পরিক্ষায় পাশও করে আজ থেকে ৪ বছর আগে। ট্রেনিং শেষ করে বিয়ে করে কুষ্টিয়ার কলেজ পড়–য়া মেয়ে ঝুমুরকে। বিয়ের পর শামিম স্ত্রীকে মা-বাবার কাছে রেখে কাজের উদ্দেশ্যে সিংগাপুর গমন করে।

কিন্তু বিধি বাম সূখ ওর কপালে নাই, সিংগাপুর থাকাকালীন প্রায়ই তার শরীরে প্রচন্ত জ¦র আসে। জ¦র থাকার কারনে সিংগারপুর কোম্পানী তাকে বাংলাদেশে ফেরৎ পাঠায়। শামিম ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের জুলহক বিশ^াসের ছেলে।

কিডনী বিশেশজ্ঞ ডাক্তারা বলেছেন শামিমের দুটি কিডনিই অকেজো: বিশাল খরচের ডায়ালিসিসে আর কুলোচ্ছে না তার পরিবার। তবুও শামিম মা-বাবা, বোন ও স্ত্রীর মুখের দিকে তাকিয়ে ভাবেন এবং কি করবেন বুঝতে পারছে না।
সংসারের সবার কথা ভেবে বাঁচতে চায়। শামিম না থাকলে সংসারের কারো যে কিছুই হবে না। অন্ধকার হয়ে যাবেন তাদের পৃথিবী।

গত ৬ মাস আগেই তার দুই কিডনি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। খুবই ব্যায় বহুল চিকিৎসা না করাতে পেরে বর্তমানে সে ডায়ালাইসিস করে বেঁচে আছে। বর্তমানে তাদের কোন সম্পদ নাই আত্মীয়দের দেয়া টাকা ২ মাসেই শেষ।

শামিমের স্ত্রী যশোর এমএম কলেজের মাষ্টার্র শেষ বর্ষের ছাত্রী ঝুমুর কান্ন জড়িত কন্ঠে জানায়, আমার শশুর খুব গরীব মানুষ অনেক ধার দেনা করে সংসারের সূখ শান্তির জন্য শামিমকে ট্রেনিং দেয়। এরপর ২০১৬ সালে আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর শামিম সিংগাপুর যায় এবং বছর যেতে না যেতেই জ¦রের কারনে দেশে ফেরৎ আসে। এরপর কালীগঞ্জ শাহজালাল ডায়াগনোষ্টি সেন্টারে ডাঃ আশরাফ আলীকে দেখানো হয়। এবং সমস্ত পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে তিনি জানায় শামিমের দু’টি কিডনীতে সমস্য আছে। তার পরামর্শ অনুযায়ী যশোর কুইন্সে একজন কিডনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে দেখানো হয় এবং তিনি রিপোর্ট দেখে আরো কিছু রিপোর্ট করার পর প্রেসক্রিপশন করে ২ মাস পরে আসতে বলে। এবং প্রেসক্রিপশনে লেখা ঔষুধ নিয়মিত খেতে বলে। ঔষুধ খেয়ে কোন উন্নতি না হওয়ায় সে আবার দেড় মাস পর আবার পুনরায় ঐ ডাক্তারের কাছে যায়। তিনি রক্তের ক্রিটিনাইন দেখতে বলে ক্রিটিনাইন টেষ্টের রিপোর্ট দেখে তিনি তখন অবস্থা খারাপ বলে জানান।

শামিমকে খুলনা আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে রেফার করেন। আবু নাসেরের কিডনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখে বলেন ২ টা কিডনীই শেষ। এখনই তাকে ডায়ালোসিস করতে হবে। সেই অবধি থেকে ভিটে মাটি বিক্রি, আত্বিয়-স্বজন ও বিভিন্ন মানুষের সাহায্যে ডায়ালোসিস চলছে। তিনি আরো জানায়, সর্ব শেষ আমাদের এক পরিচিত মহিলা ঢাকা হৃদরোগ ইনষ্টিটিউট বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের দেখানোর পর তিনি শামিমকে দ্রæত অন্তত একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করার পরামর্শ দিয়েছেন। এরপর বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে সর্বশেষ শামিমের আপন নানার সাথে শামিমের শরীরের সব কিছু মিল আছে এবং সে কিডনী দিতে পারবে বলে ডাক্তার জানান। নানা তার আদরের নাতীকে একটা কিডনী দান করার কথা বলেছেন কিন্তু এতে দরকার প্রায় ৭ লাখ টাকা। এপর্যন্ত শামিমের চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে গিয়ে এরই মধ্যে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন তার পরিবার।

এ অবস্থায় শামিমের চিকিৎসায় এগিয়ে আসতে সমাজের দাতা ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি, সরকারি হৃদয়বান কর্মকর্তা-কর্মচারী বিভিন্ন সরকারী বে-সরকারী প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন শামিমের মা রওশন আরা বেগম।

শামিমের সাথে যোগাযোগের পাঠানোর ঠিকানা: মোঃ শামিম রেজা, পিতা-মোঃ জুলহক বিশ^াস, গ্রাম- রঘুনাথপুর, উপজেলা-কালীগঞ্জ, জেলা-ঝিনাইদহ, মোবাইল নং- ০১৮২০৯৯২৭৫০।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button