ডব্লিউটিওর রফতানি প্রবৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশ দ্বিতীয়
#ঝিনাইদহের চোখঃ
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) রফতানি প্রবৃদ্ধির সূচকে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। গত এক দশকে দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশ এই প্রথম তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে আসতে সক্ষম হলো।
ডব্লিউটিও পরিসংখ্যান পর্যালোচনা ২০১৯, এর তথ্য মতে তালিকার প্রথম অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম। তবে বিশ্বের বড় অর্থনীতির দেশ চীন, ভারত, মেক্সিকো, আরব-আমিরাত, তুরস্ক, ব্রাজিলের অবস্থান তালিকার পেছনের দিকে।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত ডব্লিউটিওর এই পর্যালোচনায় সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, তালিকার শীর্ষে থাকা ভিয়েতনামের রফতানি প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ, যেখানে বাংলাদেশের ৯ দশমিক ৮, চীনের ৫ দশমিক ৭ এবং ভারতের ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।
ডব্লিউটিওর তথ্য মতে, রফতানি আয়ের দিক দিয়ে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৪২তম দেশ এবং আমদানিতে ৩০তম অবস্থানে রয়েছে। তৈরি পোশাকই বাংলাদেশের রফতানি আয়ের এখনও মূল শক্তি, বৈশ্বিক বাজারে যার অংশগ্রহণ দিন দিন বাড়ছে।
২০০০ সালে তৈরি পোশাকের বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ছিল ২ দশমিক ৫ শতাংশ, যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশে।
তৈরি পোশাকের বিশ্ববাজারে চীনের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। পোশাকের বৈশ্বিক বাজারে উদীয়মান শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে ভিয়েতনাম।
ডব্লিউটিওর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ভিয়েতনামের রফতানি প্রবৃদ্ধি মূলত ইলেকট্রিক্যাল পণ্য নির্ভর। ২০০৮ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ৩০ গুণ রফতানি আয় বেড়েছে দেশটির। অন্যদিকে বাংলাদেশের রফতানি আয় তৈরি পোশাক খাত নির্ভর।
গত বুধবার বাংলাদেশ চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করে। সেখানেও সিংহভাগ রফতানি আয়ের জন্য পোশাককে বেছে নেয়া হয়েছে।