আমাজনে ভয়াবহ আগুন
#ঝিনাইদহের চোখঃ
একের পর এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে আমাজনে। চলতি বছরে এই হার অতীতের সব রেকর্ডতে ছাড়িয়ে গেছে।
ভৌগোলিকভাবে বিশ্বের বৃহত্তম অরণ্য আমাজনের জঙ্গল। পৃথিবীর ২০ শতাংশ অক্সিজেন সরবরাহ করে এটি। তাই দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন নদীর অববাহিকায় গড়ে ওঠা এই গভীর রেইন ফরেস্টকে পৃথিবীর ফুসফুসও বলা হয়।
গত কয়েকদিন ধরে নিঃশব্দে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে এই ফুসফুস। এ নিয়ে ইউরোপীয় নেতাদের নিন্দা ও সমালোচনার মুখে আমাজনের উষ্ণমন্ডলীয় বনাঞ্চলের আগুন নিয়ন্ত্রণে সেনা সদস্যদের পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো এ সংক্রান্ত একটি ডিক্রি জারি করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
গত এক দশকের মধ্যে আমাজনের বনাঞ্চলের সবচেয়ে বেশি জায়গা আগুনে পুড়েছে। দ্য ন্যাশানাল ইন্সটিটিউট ফর স্পেস রিসার্চ (আইএনপিই) বলছে তারা চলতি বছর ৭২ হাজার ৮৪৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা রেকর্ড করেছে, যা ২০১৩ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ। গত এক সপ্তাহেই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ৯ হাজার ৫০০ স্থান চিহ্নিত হয়েছে।
বিশ্বের এক পঞ্চমাংশ অক্সিজেন সরবরাহকারী বনাঞ্চলে এই ব্যাপক অগ্নিকান্ড নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য ইউরোপীয় নেতারা সমালোচনা শুরু করলে বৃহস্পতিবার ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট। তিনি একে তার দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলেও মন্তব্য করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার ফ্রান্স ও আয়ারল্যান্ড ঘোষণা করে আমাজনের আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্রাজিল পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নিলে তারা দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নবায়ন করবে না। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে ব্রাজিলের মাংস আমদানি বন্ধের আহ্বান জানায় ফিনল্যান্ড।
শুক্রবার বোলসোনারো টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে জানিয়েছেন, তিনি আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তার জন্য সেনাবাহিনীকে কাজ করার অনুমতি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর লোক হিসেবে আমি আমাজনকে ভালোবাসতে শিখেছি এবং আমি এর সুরক্ষায় সহযোগিতা করতে চাই।
ভাষাগত দিক থেকে ডিক্রিটি অস্পষ্ট হলেও এতে সেনাবাহিনীকে প্রকৃতি সংরক্ষণ, আদিবাসীদের ভূমি ও আমাজনের সীমানা এলাকা সুরক্ষার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।