ঝিনাইদহে সোনালী আঁশ কৃষকের গলার ফাঁস
#ঝিনাইদহের চোখঃ
চলতি মৌসুমে এবার ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। ফলন ভালো হলেও পাটের দরপতনে লোকসানে চাষিরা। জেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৬০০ টাকা মণ দরে পাট বিক্রি হচ্ছে।২ সপ্তাহের ব্যবধানে এমন দরপতন বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের দেওয়া তথ্য মতে, এ বছর জেলার ৬ উপজেলায় ২০ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ২ হাজার হেক্টর বেশি। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৪ হাজার ৯০০, কালীগঞ্জে ১ হাজার ৩৪০, কোটচাঁদপুরে ৬৫০, মহেশপুরে ৩ হাজার ১৫০, শৈলকুপায় ৭ হাজার ১৩৫ ও হরিণাকুন্ডুতে ৩ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে।
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের কৃষক রুহুল আমিন বলেন, নতুন পাট উঠার পর প্রতি মণ এক হাজার ৮০০ টাকা থেকে সাড়ে ২ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। এখন দাম প্রতি মণে প্রায় ৪০০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকা কমে গেছে। বর্তমানে পাট মণ প্রতি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৪০০ টাকা থেকে এক হাজার ৬০০ টাকা দরে।
সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের কৃষক মফিদুল ইসলাম বলেন, গত ২ সপ্তাহের ব্যবধানে পাটের দাম কমে গেছে। শুরুতে পাটের দাম ভালো ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই দাম কমে যাওয়ায় লোকসানের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
একই উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের কৃষক লিল্টন বলেন, এ বছর তিনি ৪ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছিলেন। বৃষ্টিপাত কম হওয়া আর নদী বা জলাশয়ে পানি না থাকার কারণে জমি থেকে দূরবর্তী স্থানে গিয়ে পাট জাগ দিতে হয়েছে। এতে খরচ বেড়ে গেছে। কিন্তু এখন পাটের যা দাম তাতে লোকসান গুনতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ জি এম আব্দুর রউফ বলেন, যাদের পাট আগে উঠেছিল তারা দাম ভালো হয়েছে। পাটের আমদানি বাড়ার পর দাম কমে গেছে। কৃষি বিভাগ শুধু উৎপাদন নিয়ে কাজ করে। বাজারতাজ করণের তাদের কিছু করণীয় নেই। এ ব্যাপারে কৃষকদের কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদন খরচ কম করানোর পরামর্শ দেন।