#সাহিদুল এনাম পল্লব, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ বেগম কে হাত কেটে প্রাননাশের হুমকি দিয়েছে পুটিয়া (দুর্গানারায়ন পুর) গ্রামের শফিউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে পলাশ বিশ্বাস ।
https://www.youtube.com/watch?v=SO5lvF1i9CA
সোমবার ঝিনাইদহ পুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন ঝিনাইদহ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগে জানায় যে, গত ১৪ই সেপ্টেম্বর রোজ শনিবার পুটিয়া (দুর্গানারায়ন পুর) গ্রামের শফিউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে পলাশ বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তি ১২ টা ৩০ মিনিটের সময়ে মডেল টেস্ট চলাকালে অফিস কক্ষে প্রবেশ করে তার নিজের জন্য ৫ম শ্রেণী পাশের একটি সনদ চায়। তাকে এই সনদ দেওয়ার ক্ষমতা নেই বললে সে রেগে যায় এবং অফিসের ফাইল প্ত্র ও টেবিল ফেলে দেয়। সেই সাথে প্রধান শিক্ষকের হাত কেটে নেওয়ার হুমকি দেয়। সেই সাথে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে। এক পর্যায়ে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে।
https://www.youtube.com/watch?v=5FFZ6a8fAFM
উক্ত ঘটনার পরের দিন ১৫ই সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষকের রুমে এসে তার কাজে ব্যঘাত ঘটিয়ে, শিক্ষকের লিখিত জরুরী কাগজপত্রাদী ছিড়ে ফেলে বলে যে আমার সার্টিফিকেট দরকার। বলে আবার অশ্লীল ভাষায় গালাগালি শুরু করে এবং এক পর্যায়ে স্কুলের মধ্যেই প্রধান শিক্ষক কে মারধর করতে যায়। এখন জীবন ভয়ে আর স্কুল করতে পারছেন না।
প্রধান শিক্ষক অভিযোগে আরও উল্লেখ করে যে উক্ত ঘটনার প্রায় মাস খানেক আগে এই পলাশ বিশ্বাসের নেতৃত্বে স্কুল ভবন তৈরি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিকট চাঁদা দাবী করে শ্রমিক দের মারপিট করে কাজ বন্ধ করে দেয়। এই মর্মে তাদের নামে একটি মামলা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাঁদার দাবীতে মার খাওয়া শ্রমিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলে যে মার খাওয়ার পর আমি প্রায় ১ মাস কাজ করতে পারিনি। ঘটনাটা সকল গ্রাম বাসী অবগত আছে।
পলাশ বিশ্বাসের নিকট জানতে চাইলে সে বলে যে আমার সার্টিফিকেট কেন দেবে না? তাছাড়া প্রধান শিক্ষক স্কুলের অনুদানের আসা সকল টাকা মেরে খেয়ে ফেলে। যদি সে এই ব্যাপারে কোন অভিযোগ করে থাকে তাহলে আমি লোক জন নিয়ে ডাল সড়কি নিয়ে যেয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করব। আমি ঐ স্কুলে পড়েছি তাহলে কেন আমার সার্টিফিকেট সে দেবে না?
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, আমি জানার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মী ইসলাম জানান, ঘটনা জানার পর আমি ঝিনাইদহ সদর থানা কে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।
ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।