নির্যাতন সইতে না পেরে গলাই ওড়না পেচিয়ে গৃহবধুর আত্মহত্যা
খাইরুল ইসলাম নিরব, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়নের গয়াসপুর গ্রামের হানেফ মন্ডলের মেয়ে ও একই গ্রামের আমিরুল ড্রাইভারের ৩য় স্ত্রী চম্পা খাতুন (২২) স্বামী ও দেবরের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাড়ির পাশের একটি পুকুর পাড়ের গাবগাছের সাথে গলাই ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। খোজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ৪ বছর পূর্বে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জমিদারপাড়া গ্রামের আকবার মন্ডলের ছেলে ইকবালের সাথে চম্পা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সামিয়া (২) নামের এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।
চম্পার পিতা হানেফ মন্ডল জানান, আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে বিয়ে করে ড্রাইভার আমিরুল। এ দিয়ে আমিরুলের তিন বউ। বড় বউয়ের দ্ইু মেয়ে। আমিরুলের বড় বউ দেশের বাইরে থাকে। তার বাবার বাড়ি পাশ^বর্তী লক্ষিকোল গ্রামে। মেঝে বউয়ের ১ মেয়ে। তার বাবার বাড়ি কাষ্টসাগরা গ্রামে। এই অবস্থায় আমার মেয়ের আগের স্বামীর কাছ থেকে ফুসলিয়ে নিয়ে বিয়ে করে ৫ মাস আগে। তিনি আরও জানান, আমিরুল ও তার ছোট ভাই কামরুল মাদকাসক্ত। তারা দুজনে মিলে আমার মেয়েকে প্রায়ই নির্যাতন করতো। এখন নাতনি সামিয়ার কি হবে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার এস আই ইউনুচ আলী গাজী জানান, সদর উপজেলার গয়াসপুর গ্রামে চম্পা নামের এক গৃহবধুর লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পর বিস্তারিত জানা যাবে।