বাজারে আসছে কৃত্রিম মাংস!
![বাজারে আসছে কৃত্রিম মাংস!](https://i0.wp.com/jhc24.com/wp-content/uploads/2019/10/000000-2.jpg?resize=700%2C412&ssl=1)
ঝিনাইদহের চোখঃ
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কোষ থেকে কৃত্রিম মাংস তৈরির পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন রাশিয়ার এক মহাকাশচারী। কোষ থেকে তৈরি করা হয় এই মাংস।
গত সেপ্টেম্বরে ৩ডি প্রিন্টার ব্যবহার করে মহাকাশ স্টেশনে গরু ও খরগোশের মাংস এবং মাছের টিসু উৎপাদন করা হয়। ইসরাইলী খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আলেফ ফার্মস মহাকাশ স্টেশনে এই প্রাণী কোষ সরবরাহ করে।
দীর্ঘ সময়ের ভ্রমণ এবং মহাকাশে দীর্ঘ সময় কাটানো বিশেষ মঙ্গল অভিযানের মতো দীর্ঘ সময়ের যাত্রায় খাবারের চাহিদা মেটাবে কৃত্রিম মাংস।
আলেফ ফার্মের সিইও দিদিয়ার তৌবিয়া এএফপিকে বলেন, তবে আমাদের লক্ষ্য পৃথিবীতে এই মাংস বিক্রি করা। এই ধারণা প্রচলিত কৃষি খামারের বিকল্প হবে না, তবে ডেইরি ফার্মের ভালো বিকল্প হবে।
ক্যালিফোর্নিয়ার জাস্ট কোম্পানির সিইও জোস টিটরিক সানফ্রান্সিসকোয় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, কৃত্রিম মাংস বাজারে সরবরাহে এই বছরটা লাগতে পারে। এই মাংস শুধু চার হাজার ওয়ালমার্ট অথবা সব ম্যাকডোনাল্ডেই নয় বরং বিপুল রেস্তোরায় সরবরাহ করা হবে।
ফর্ক এন্ড গুডডি’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও নিয়া গুপ্তা বলেন, এই ধরনের শিল্প আমরা বিজ্ঞানের অগ্রগতির সুফল হিসেবে নিয়েছি তবে পরবর্তী উন্নয়নের জন্য কারিগরি বিষয়টি একটি চ্যালেঞ্জ। এই ধরনের কৃত্রিম মাংস সুপার মার্কেটে আসতে পাঁচ থেকে বিশ বছর সময় লাগবে। এখাতে আরো বিনিয়োগ দরকার। ২০১৮ সালে মোট বিনিয়োগ হয়েছে মাত্র ৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এর আগে ডাচ বিজ্ঞানী মার্ক পোস্ট ২০১৩ সালে গরুর মাংসের বার্গার আকৃতির স্টেমসেল তৈরি করেন। বর্তমানে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় আরো সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রির জন্য প্রযুক্তি উন্নয়নের চেষ্টা চলছে।