ঝিনাইদহের এক সাধারণ ঘরের সন্তানের অসাধারণ হয়ে ওঠার গল্প
মোঃ মিশন আলি, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের। মোঃ ইলিয়স হোসেন তিনি গ্রামের খুব সাধারণ পরিবারের সন্তান। পেশাই একজন শিক্ষক।
১৯৯৯সালের প্রথম দিকে পাশের গ্রামের একটি বেসরকারি স্কুল শিক্ষা প্রাতিষ্ঠানের তিনি প্রথম শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। আর একই বছরে তিনি সিদ্ধান্ত নেন দেশের জন্য এবং দেশের মানুষের কল্যণের জণ্য এমন কিছু কাজ করতে চান যা সমাজ ও দেশের উন্নতি ঘটে। সেই থেকে ১৯৯৯সালের অক্টোবর মাসেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন তাল বীজ রোপন করার। আর সেই থেকেই তিনি স্কুলের কিছু ছাএ কে সাথে নিয়ে নিজের বিদ্যালয় দিয়েই শুরু করেন আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।
তিনি জানান, শুরুর দিকে সমাজের বিভিন্ন মানুষের সমালচনার সম্মুখি হয়। কিন্তু এর পরও থেমে থাকেনি ইলিয়াস হোসেন । নিজেই গ্রামের মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তালের বিজ সংগ্রহ করে চালাতে থাকেন এ কর্মকান্ড। এর পর ২০১০সালে তিনি গ্রামের স্কুলের চাকরি ছেড়ে পাড়ি দেন কুষ্টিয়া শহরে। সেখানে তিনি ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে যোগ দান করেন। এবং তিনি কুষ্টিয়া থেকেও দেশের ভালোবাসার টানে ছাএ -ছাএীদের সাহায্য নিয়ে তিনি কুষ্টিয়া তেও ১২থেকে১৪ কিঃমিঃ রাস্তার পাশে তাল বিজ রোপন করেন।
একটা সময় কুষ্টিয়ার মানুষ ও বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী প্রাতিষ্ঠান তাঁর কাজ কে আরো গতি শিল করার জন্য বিভিন্ন তাল বিজ দিয়ে তাঁকে সহযোগীতা করেন। তিনি এই বছোরও ১২০০ তাল বিজ রোপন করেছেন। এবং তিনি এখনো আশায় আছেন আরো কিছু বিজ রোপননকরার। তিনি দাবি করেন ১৯৯৯ সাল থেকে আজ প্রায় ৩০,০০০ বিজ রোপন করেছেন। তিনি আরো ৭০,০০০ তাঁল বিজ রোপন করার আশা প্রকাশ করেন।