কালীগঞ্জে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ
আরিফ মোল্ল্যা, ঝিনাইদহের চোখঃ
দাবিকৃত যৌতুকের টাকা বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে দিয়েছেন কয়েক দফা।
তারপরও যৌতুকলোভী স্বামী তাকে ভুয়া তালাকনামা পাঠিয়ে দিয়ে অন্যস্থানে আবার বিয়ে করে বহাল তবিয়তে আছেন তার স্বামী খড়াসিনি গ্রামের রফিউদ্দীনের ছেলে মেহেদী হাসান বকুল।
এখন একমাত্র প্রতিবন্ধি ছেলেকে নিয়ে বিচারের জন্য দারে দারে ঘুরছেন এমন অভিযোগ ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের পাইকপাড়া গ্রামের মৃত দলিল উদ্দীনের মেয়ে উম্মে পাপিয়া হাসান।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, তার স্বামী বকুল যেখানে অবস্থান করে সেখানে মানুষকে ধোকা দিয়ে বিয়ে করে মেয়েদের ঠকিয়ে আসছে। এ পর্যন্ত বেশ কিছু মেয়ের কপালে তার মত বঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন বকুল একজন চরিত্রহীন মানুষ। বেশ কিছুদিন আগে নলডাঙ্গা মন্দিরের পাশে একটি মেয়েকে ফুসলিয়ে এনে ধর্ষন করার সময় এলাকাবাসীর হাতে ধরা খেয়ে মামলায় পড়ে মহামান্য আদালত এ অপরাধের জন্য তার ৪৬ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন।
ভুক্তভোগী পাপিয়া জানান, সম্প্রতি এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লেও সেটা ধামাচাপা দেয় সুচতুর চরিত্রহীন বকুল। কিন্ত পরে ওই প্রবাসীর কন্যাকেই আবার বিয়ে করে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ বকুল এভাবে অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসলেও ভয়ভীতি দেখিযে নিজে কোন কিছুর তোয়াক্কা করে না। তিনি বকুলকে দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।