দুর্নীতির দায়ে ঝিনাইদহ গণপূর্ত নির্বাহী প্রকৌশলীর বদলি (ভিডিও সহ)
আসিফ কাজল, ঝিনাইদহের চোখঃ
ব্যাপক দুর্নীতি, কাজ না করে বিল উত্তোলন ও ভুয়া বিল ভাউচারে সরকারের কোটি কোটি আত্মসাৎ করার দায়ে ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে শাইখকে অবশেষে বদলী করা হয়েছে।
গত ৩ ডিসেম্বর সচিব পর্যায়ের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটির তদন্তের পরই তাকে ঝিনাইদহ থেকে সরিয়ে চাঁদপুর জেলায় বদলী করা হলো। গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সাহাদাত হোসেন সাক্ষরিত ২২৩০ নং স্মারকের এক চিঠিতে বলা হয়েছে আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে দায়িত্ব বুঝে দিয়ে তাকে কর্মস্থল ত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় ১২ ডিসেম্বর থেকে তাৎক্ষনিক ভাবে অবমুক্ত হয়েছেন বলে ধরে নেওয়া হবে।
এদিকে নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে শাইখকে বদলীর পর ঠিকাদার ও সচেতন মহলের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে প্রমানিত দুর্নীতির সাজা কি শুধুই বদলী ? গত ৩ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ সার্কিট হাউসে গৃহায়ন ও গণপুর্ত মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন-২) মোঃ ইয়াকুব আলী পাটওয়ারীর নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির সামনে ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে শাইখের দুর্নীতি ও অনিয়মের একাধিক প্রমান হাজির করেন ভুক্তভোগীরা।
তাদের ধারণা ছিল প্রমানিত এ সব দুর্নীতির দায়ে সাময়িক বরখাস্ত হবেন কায়সার ইবনে শাইখ।
উল্লেখ্য ঝিনাইদহ গনপুর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে শাঈখ গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ই-জিপি টেন্ডার আহবান করে বিধি ভঙ্গ করে মেন্যুয়ালি নেটিফিকেশন অফ এওয়ার্ড (নোয়া) দেন। যা পিপি’র বিধি বহির্ভুত। এতে একজন ঠিকাদারকে অর্ধশত কাজ পেতে সহায়তা করেন। ভূয়া বিল ভাউচার করে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নেন নির্বাহী প্রকৌশলী। কাজ না করেই জুনের আগে কয়েক কোটি টাকার বিল তুলে নেন। একজনের টাকা আরেকজনকে দিয়ে দেন। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে ২৬টি কাজের গোপন টেন্ডার করেন। এ সব বিষয়ে তথ্য ভিত্তক সংবাদ প্রকাশিত হলে সচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।