চোখ সারাতে লাগবে মাত্র ৫ হাজার টাকা, দিনভর কায়িক পরিশ্রম
মোস্তফা কামাল, ঝিনাইদহের চোখঃ
নাম রতন রায়। বয়স ৮২ পার হয়েছে। আত্ম বিশ্বাস এবং মনোবলই যার প্রেরণা, তিনি মাত্র ৫ হাজার টাকার জন্য দিনভর কায়িক পরিশ্রম করছেন। পরিশ্রম করার জন্য শরীর উপযুক্ত না হলেও টাকার জন্য কারো মুখাপেক্ষী হতে চান না তিনি।
দৃঢ় মনোভাবা ও আত্নবিশ্বাসী এই বৃদ্ধ ঝিনাইদহ শহরের পাগলা কানাই কাঠাল বাগান এলাকার মৃত যতীন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে। বাম চোখের আলো নিভে যেতে বসেছে তার। যদিও এই বয়সে বিশ্রামে আয়েশী জীবন যাপন করার কথা, কিন্তু চোখের চিকিৎসার টাকা যোগাড় করতে তিনি মনোবল এবং আত্নবিশ্বাসকে পুঁজি করে নেমেছেন শ্রম যুদ্ধে।
প্রত্যয়ী, এবং আত্নবিশ্বাসে হার না মানা এই মানুষটির সাথে কথা হলে তিনি জানালেন, সংসার জীবনে তিনি ১পুত্র, ও ২ কন্যা সন্তানের জনক। ছেলে দীনবন্ধু রায় শহরের গীতাঞ্জলি সড়কে জুয়েলারি ব্যবসা করেন। ২ কন্যাকে বিয়ে দিয়েছেন। তারাও স্বামীর সংসারে সুখে আছে। বাড়ীতে স্ত্রী নিলীমা রায়ও বয়সের ভারে অসুস্থ্য। ৫ হাজার টাকা হলে বামচোখের চিকিৎসা করাতে পারবেন। কিন্তু কারো সাহায্যে তিনি এই টাকা নিতে চান না। মাত্র ৪০০ টাকা দিন হাজিরায় শহরের গাংগুলী মিষ্টান্ন ভান্ডারে সকাল -বিকাল রুটি, পরোটা,ও ডাল পুরির আটা- ময়দা ব্যালা কাজে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার পরও সমাজের একজন বিবেকবান মানুষ হিসেবে আমরা কি পারিনা, একজন রতন রায় এর জন্যে সাহায্যেের হাত বাড়াতে? আফসোস হয়, সমাজে এখনো রতন রায়দের মত অভিমানী ও আত্ন সম্মানবোধ ওয়ালা মানুষ আছে…..৷। স্যালুট, বাবু রতন রায়কে……….।