নির্বাচন করতে পারবেন না মসিউর রহমান ও আব্দুল ওহাব
দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলায় দণ্ড হাইকোর্টে স্থগিত না হওয়ায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না ঝিনাইদহের বিএনপি নেতা মসিউর রহমান ও আব্দুল ওহাব।
সাবেক এমপি মসিউর রহমান ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা। সাবেক এমপি আব্দুল ওহাব বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি।
দুর্নীতির অভিযোগে বিচারিক আদালতে দায়ের হওয়া মামলার দণ্ড (কনভিকশন অ্যান্ড সেন্টেন্স) স্থগিত চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
মসিউর রহমান এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, পাঁচ কোটি সাত লাখ ৯৮ হাজার ৯৮৩ টাকার সম্পদের হিসাব গোপন করাসহ পাঁচ কোটি ৯৮ লাখ ২০ হাজার ৭৩৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক হুইপ মসিউর রহমানের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা করেন দুদকের সমন্বিত কুষ্টিয়া জেলা অফিসের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন মৃধা।
তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ের তৎকালীন উপপরিচালক নাসির উদ্দিন। এরপর ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর, বুধবার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মসিউর রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন যশোরের বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা।
আদালত মসিউর রহমানের ‘জ্ঞাত আয়বহির্ভূত’ ১০ কোটি পাঁচ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩০ টাকার অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তাকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো নয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।
এদিকে, ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বিএনপি নেতা আব্দুল ওহাবের বিরুদ্ধে করা মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, অবৈধ সম্পদ অর্জনের মাধ্যমে দুর্নীতির দায়ে ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও শৈলকূপা উপজেলা সভাপতি আব্দুল ওহাবকে আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। পাশাপাশি ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৯ মাসের কারাদণ্ডাদেশ এর আদেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৯৩ লাখ ৩৬৯ টাকা ৩২ পয়সার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
যশোরের বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহার আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার এ রায় ঘোষণা করেন।