মো আজাদ, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ২৫টি দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ট শ্রেনিতে বই সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা বই না পেয়ে পাঠদান থেকে পিছিয়ে পড়ছে। অন্যদিকে মাদ্রাসার সুপারগন বই সংকটের কারন হিসাবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেনকে দায়ী করেছেন। শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে সরকারের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।
মাদ্রাসা সুপারগনের অভিযোগে জানা গেছে,মহেশপুর উপজেলায় ২৫টি দাখিল মাদ্রাসায় ৬ষ্ট শ্রেনিতে ১৮শত ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানের সুপারগন ২২শত বইয়ের চাহিদা দেন মহেশপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেনের কাছে। তিনি খামখেয়ালীপানা করে ১১শত বইয়ের চাহিদা পাঠান ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা অফিসে। সেই মোতাবেক প্রতিটি মাদ্রাসায় ৪৫% ছাত্রÑছাত্রীর হাতে নতুন বই দেওয়া হয়েছে। বাকিরা বই না পেয়ে হতাশার মধ্যে পড়েছেন এবং শিক্ষা থেকে পিছিয়ে পড়ছেন। অনেক অভিভাবকেরা প্রতিনিয়ত বইয়ের জন্য বিশৃংঙ্খলা সৃষ্টি করছে প্রতিষ্ঠানগুলোয়। এতে করে মাদ্রসায় শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ২০১৯ সালের বই পরিবহন খরচের টাকা কোন মাদ্রাসায় দেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান জানান, চাহিদা পরিমান বই পাইনি এবং গত বছর ও এ বছর পরিবহন খরচের টাকা পাইনি।
মহেশপুর মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবুল হাসেম ৬ষ্ঠ শ্রেণীর বই সংকটের কথা স্বীকার করে জানান,আমারা এ বছর চাহিদা পরিমান বই ও পরিবহন খরচের টাকা পাইনি। তিনি আরো জানান গত বছরের পুরাতন বই সংগ্রহ করে মেকাপ করেছি।
এ ব্যাপারে মহেশপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেন জানান,প্রাইমারি সমাপনী পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে আমি চাহিদা দিয়েছিলাম। কিন্তু মাদ্রাসার অনেক শিক্ষার্থী বই পায়নি। এটা দুঃখজনক। এই সংকট নিরসনের জন্য কাজ করা হচ্ছে। তবে বই পরিবহন খরচের টাকার ঘটনায় তিনি জানান, খেয়াল ছিল না। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি মাদ্রাসায় টাকাগুলি প্রদান করা হবে।