কোটচাঁদপুরে তিন বছরের শিশুকে কুপিয়ে হত্যা
ঝিনাইদহের চোখঃ
বাড়ীর মালিকের তিন বছরের এক শিশু কন্যাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কোটচাঁদপুর রেলষ্টেশন পাড়ায়।
নিহত শিশুর ভাই ইউসুফ জানান- তিনি রাজ মিস্ত্রীর কাজ করেন। কাজ শেষে বিকাল ৪টার পর বাসায় এসে খাওয়া দাওয়া সারেন। এমন সময় তার তিন বছর বয়সী বোন জান্নাতুল ফেরদৌসকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের ভাড়াটিয়া দুলালের ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন মা খায়রুন নেছা। তিনি এ সময় মেয়েকে কোলে নিয়ে চিৎকার দিলে ইউসুফ নিজ ঘর থেকে ছুটে এসে প্রতিবেশীদের সহয়তায় ছোট বোনকে হাসাপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা মাত্রই শিশু জান্নাতুলের মৃত্যু হয়। নিহত শিশু জান্নাতুলের মা খায়রুন বেগম বলেন, তাদের ভাড়াটিয়া দুলাল তার মেয়েকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। কি কারণে হত্যা তা তিনি বলতে পারেননি।
কোটচাঁদপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুল আলম বলেন- আমি নিজে হাসপাতালে নিহত শিশুটিকে দেখে এসেছি। এখন ঘটনাস্থলে যাচ্ছি তারপর দেখা যাক আসল রহস্যাটা কি।
এদিকে শিশুটিকে ভুড়ি বের করে দেয়া , এক হাতের কব্জি প্রায় বিচ্ছিন্ন করাসহ পায়ে ধারালো কোপের চিহ্ণ রয়েছে। এমন নৃশংস হত্যার পিছনে শুধু বাড়ীর ভাড়াটিয়াই দায়ী এমন অভিযোগ মানতে অনেকেই নারাজ। তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ভীতরের কোন কারণ ছাড়া বাড়ীর মধ্যেই তিন বছরের শিশু হত্যা হতে পারে এটা মানা যায় না।
এদিকে ভাড়াটিয়ার আসল বাড়ী কোথায় তা কেউ বলতে পারেনি। দুলাল নামের ওই ভাড়াটিয়া তিন মাস আগে একাই ওই বাসা ভাড়া নেন এবং পুরানো কাপড়ের ব্যবসা করতেন বলে জানা গেছে ।