জেনে নিন, পবিত্র কোরআনে উল্লেখিত ১১৪টি সূরার বাংলা অর্থ
ঝিনাইদহের চোখঃ
আল কোরআন ইসলাম ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। ইসলামের ইতিহাস অনুসারে দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে খণ্ড খণ্ড অংশে এটি ইসলাম ধর্মের সর্বশেষ নবী রাসূলে পাক (সা.) এর নিকট অবতীর্ণ হয়। কুরআনে সর্বমোট ১১৪টি সূরা আছে এবং আয়াত সংখ্যা ৬,৬৬৬ টি। এটি মূল আরবি ভাষায় অবর্তীর্ণ হয়। মুসলিম চিন্তাধারা অনুসারে কুরআন ধারাবাহিকভাবে অবর্তীর্ণ ধর্মীয় গ্রন্থগুলোর মধ্যে সর্বশেষ। এখন জেনে নিন, পবিত্র কোরআনে উল্লেখিত ১১৪টি সূরার বাংলা অর্থ।
১। আল- ফাতিহা (সূচনা)
২। আল-বাকারা (বকনা-বাছুর)
৩। আল-ইমরান (ইমরানের পরিবার)
৪। নিসা (নারী)
৫। আল-মায়িদাহ (খাদ্য পরিবেশিত টেবিল)
৬। আল-আনাম (গৃহপালিত পশু)
৭। আল-আরাফ (উচু স্থানসমূহ)
৮। আল-আনফাল (যুদ্ধে-লব্ধ ধনসম্পদ)
৯। আত-তাওবাহ (অনুশোচনা)
১০। ইউনুস (একজন নবী)
১১। হুদ (একজন নবী)
১২। ইউসুফ (একজন নবী)
১৩। আর-রাদ (বজ্রনাদ)
১৪। ইবরাহীম (একজন নবী)
১৫। আল-হিজর (পাথুরে পাহাড়)
১৬। আন-নাহল (মৌমাছি)
১৭। বনি ইসরাইল (ইহুদী জাতি)
১৮। আল-কাহফ (গুহা)
১৯। মারিয়াম (নবী ঈসা(আঃ) এর মা)
২০। ত্বা হা (ত্বা হা)
২১। আল-আম্বিয়া (নবীগণ)
২২। আল-হাজ্ব (হজ্ব)
২৩। আল-মুমিনুন (মুমিনগণ)
২৪। আন-নূর (আলো)
২৫। আল-ফুরকান (সত্য মিথ্যার পার্থক্য নির্ধারণকারী গ্রম্থ)
২৬। আশ-শুআরা (কবিগণ)
২৭। আন-নমল (পিপীলিকা)
২৮। আল-কাসাস (কাহিনী)
২৯। আল-আনকাবুত (মাকড়সা)
৩০। আল-রুম (রোমান জাতি)
৩১। লুকমান (একজন জ্ঞানী ব্যাক্তি)
৩২। আস-সাজদাহ (সিজদা)
৩৩। আল-আহযাব (জোট)
৩৪। আস-সাবা (রানী সাবা/শেবা)
৩৫। আল-ফাতির (আদি স্রষ্টা)
৩৬। ইয়া সিন (ইয়া সিন)
৩৭। আস-সাফফাত (সারিবদ্ধভাবে দাড়ানো)
৩৮। সোয়াদ (আরবি বর্ণ)
৩৯। আয-যুমার (দল-বদ্ধ জনতা)
৪০। আল-মুমিন (বিশ্বাসী)
৪১। হামিম সাজদাহ (সুস্পষ্ট বিবরণ)
৪২। আশ-শূরা (পরামর্শ)
৪৩। আয-যুখরুফ (সোনাদানা)
৪৪। আদ-দুখান (ধোয়া, smoke)
৪৫। আল-জাসিয়াহ (নতজানু)
৪৬। আল-আহকাফ (বালুর পাহাড়)
৪৭। মুহাম্মদ [নবী মুহাম্মদ স:]
৪৮। আল-ফাতহ (বিজয়)
৪৯। আল-হুজুরাত (বাসগৃহসমুহ)
৫০। ক্বাফ (আরবি বর্ণ)
৫১। আয-যারিয়াত (বিক্ষেপকারী বাতাস)
৫২। আত-তুর (একটি পাহাড়ের নাম)
৫৩। আন-নাজম (তারা)
৫৪। আল-ক্বমর (চন্দ্র)
৫৫। আর-রাহমান (পরম করুণাময়)
৫৬। আল-ওয়াকিয়াহ (নিশ্চিত ঘটনা)
৫৭। আল-হাদিদ (লোহা)
৫৮। আল-মুজাদিলাহ (অনুযোগকারিণী)
৫৯। আল-হাশর (সমাবেশ)
৬০। আল- মুমতাহানা (নারী যাকে পরিক্ষা করা হবে)
৬১। আস-সাফ (সারবন্দী সৈন্যদল)
৬২। আল-জুমুআহ (সম্মেলন/ শুক্রবার)
৬৩। আল-মুনাফিকুন (কপট বিশ্বাসীগণ)
৬৪। আত-তাগাবুন (মোহ অপসারণ)
৬৫। আত-ত্বালাক (তালাক)
৬৬। আত-তাহরীম (নিষিদ্ধকরণ)
৬৭। আল-মুলক (সার্বভৌম কতৃত্ব)
৬৮। আল-ক্বলম (কলম)
৬৯। আল-হাক্ক্বাহ (নিশ্চিত সত্য)
৭০। আল-মাআরিজ (উন্নয়নের সোপান)
৭১। নূহ (একজন নবী)
৭২। আল-জ্বিন (জ্বিন সম্প্রদায়)
৭৩। মুযাম্মিল (বস্ত্রাচ্ছাদনক ারী)
৭৪। মুদাসসির (পোশাক পরিহিত)
৭৫। আল-কিয়ামাহ (পুনরু্ত্তান)
৭৬। আল-ইনসান (মানুষ)
৭৭। আল-মুরসালাত (প্রেরিত পুরুষগণ)
৭৮। আন-নাবা (মহাসংবাদ)
৭৯। আন-নাযিয়াত (প্রচেষ্টাকারী)
৮০। আবাসা (তিনি ভ্রুকুটি করলেন)
৮১। আত-তাকবির (অন্ধকারাচ্ছন্ন )
৮২। আল-ইনফিতার (বিদীর্ণ করা)
৮৩। আত-তাতফিক (প্রতারণা করা)
৮৪। আল-ইনশিকাক (খন্ড-বিখন্ড করণ)
৮৫। আল-বুরুজ (নক্ষত্রপুন্জ)
৮৬।আত-তারিক (রাতের আগন্তুক)
৮৭। আল-আলা (সর্বোন্নত)
৮৮। আল-গাশিয়াহ (বিহ্বলকর ঘটনা)
৮৯। আল-ফজর (ভোরবেলা)
৯০। আল-বালাদ (নগর)
৯১। আশ-শামস (সূর্য)
৯২। আল-লাইল (রাত্রি)
৯৩। আদ-দুহা (পূর্বান্হের সুর্যকিরণ)
৯৪। আল-ইনশিরাহ (প্রশস্তকরণ)
৯৫। আত-তীন (ডুমুর)
৯৬। আল-আলাক (রক্তপিন্ড)
৯৭। আল-ক্বাদর (মহিমান্বিত)
৯৮। আল-বাইয়িনাহ (সুস্পষ্ট প্রমাণ)
৯৯। আল-যিলযাল (ভূমিকম্প)
১০০। আল-আদিয়াত (অভিযানকারী)
১০১। আল-কারিয়াহ (মহাসংকট)
১০২। আত-তাকাছুর (প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা)
১০৩। আল-আসর (সময়)
১০৪। আল-হুমাযাহ (পরনিন্দাকারী)
১০৫। ফীল (হাতি)
১০৬। আল-কুরাইশ (কুরাইশ গোত্র)
১০৭। আল-মাউন (সাহায্য-সহায়তা )
১০৮। আল-কাওসার (প্রাচুর্য)
১০৯। আল-কাফিরুন (অবিশ্বাসী গোষ্ঠী)
১১০। আন-নাসর (স্বর্গীয় সাহায্য)
১১১। লাহাব (জ্বলন্ত অংগার)
১১২। আল-ইখলাস (একত্ব)
১১৩। আল-ফালাক (নিশিভোর)
১১৪। আন-নাস (মানবজাতি)