করোনায় বিদ্যুতের ব্যবহার অর্ধেকে নেমেছে
ঝিনাইদহের চোখঃ
করোনার মহামারির মধ্যে জনজীবনে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে দেশে বিদ্যুতের ব্যবহার নেমে এসেছে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অর্ধেকে। দেশে বর্তমানে সচল ১৩৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ২০ হাজার মেগাওয়াট। এর বিপরীতে বছরের এমন সময়ে দিনে ১২ হাজার ৮৯৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহারেরও রেকর্ড রয়েছে।
তবে গত ২৬ মার্চ থেকে অফিস-আদালত, কল-কারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিদ্যুতের ব্যবহার ৭ হাজার মেগাওয়াটে নেমে এসেছে বলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক সাইফুল হাসান চৌধুরী জানান।
তিনি বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহে দিনে গড়ে ৮ হাজার থেকে ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ব্যয় হচ্ছিল। গত কয়েক দিনে মেঘ-বৃষ্টি শুরু হওয়ায় কনজাম্পশন কমে সাত হাজার মেগাওয়াটে এসেছে।’
পিডিবির ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ এপ্রিল দিনের সর্বোচ্চ চাহিদা (অফ পিক) ছিল ৫ হাজার ৭৬৯ মেগাওয়াট, সন্ধ্যায় সর্বোচ্চ (পিক আওয়ার) চাহিদা ছিল ৭ হাজার ৮৯ মেগাওয়াট। ২৫ এপ্রিল ৬ হাজার মেগাওয়াট থেকে সাড়ে ৮ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যে ওঠানামা করেছে বিদ্যুতের চাহিদা।
এর মধ্যেই শুরু হয়েছে রোজার মাস। অন্য বছর তারাবির সময় দোকান, শপিংমলসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক স্থাপনা বন্ধ রাখার কথা বলা হলেও এবার তেমন কোনো ঘোষণা দিতে হচ্ছে না।
তবে, কলকারখানা বন্ধ থাকায় চাহিদা কমে গেলেও বিভিন্ন স্থানে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘরবন্দি মানুষের বিরক্তির কারণ হচ্ছে।
এমনকি খোদ বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদও কর্মকর্তাদের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন- ‘এখন কেন লোড শেডিং হবে?’
বিতরণ সংস্থাগুলো অবশ্য একে লোডশেডিং বলছে না। তাদের ভাষ্য, কালবৈশাখী ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাতেই মাঝেমধ্যে বিদ্যুৎ যাচ্ছে।