জাহিদুন ইসলাম, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুরের ফতেপুর বেড়েরমাঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লক্ষাধিক টাকার গাছ চুরি করে বিক্রি করার অভিযোগে মামলা হলেও গত তিন সপ্তাহেও রহস্যজনক কারণে আসামী গ্রেফতার নেই। অভিযোগ রয়েছে প্রতিনিয়ত আসামীরা থানার আশপাশ ঘুরাঘুরি করলেও পুলিশ দেখতে পায় না।
থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে প্রকাশ, গত ২২শে মে ফতেপুর বেড়েরমাঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ চুরি করে বিক্রি করার অভিযোগ এনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিমা খাতুন বাদি হয়ে ২৮শে মে মহেশপুর থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। যার নং-২০(৫)২০।
আসামীরা হলো-বেড়েরমাঠ গ্রামের সিদ্দিক ব্যাপরীর ছেলে উপজেলা তাঁতীলীগের সাধারন সম্পাদক আসাদুল ইসলাম আসাদ, একই গ্রামের মৃত রজব আলীর ছেলে খাজের আলী, গনি দর্জির ছেলে জামাল হোসেন ও হাশেম আলীর ছেলে আজিজুর রহমান সহ ১০/১২জনের একটি সিন্ডিকেট গাছ বিক্রি করে নেয়।
স্থানীয় লোকজন জানায়, গত তিন সপ্তাহ পার হলেও রহস্যজনক কারণে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এস.আই আওয়াল আসামীদের গ্রেফতার করেনি।এ বিষয়ে অনেকবার মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলেও তিনি গুরুত্ব দেয়নি।
আসামী কেন ধরা ছোয়ার বাইরে এমন প্রশ্নের উত্তরে মহেশপুর থানার ওসি মোর্শেদ হোসেন খাঁন বলেন, বিষয়টি মামলার আয়ুর সাথে যোগাযোগ করেন। মামলার আয়ু এস.আই আওয়ালের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আসামী ধরার ব্যাপারে বাদিপক্ষ কোন সহযোগিতা করছে না বলে জানায়। তিনি আরো বলেন, আসামীরা বাড়ি নেই। অথচ আসামীরা থানা মোড়ে প্রতিনিয়ত ঘুরাঘুরি করলেও তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এদিকে মামলার বাদি রহিমা খাতুন জানায়, গত ১৩ই জুন স্কুলে শিক্ষকরা সরকারি কাজে নিয়োজিত থাকা অবস্থায় আাসামীরা লোকজন সহ তাদেরকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়। মামলা তুলে না নিলে শিক্ষকদেরকে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হবেনা বলে গালিগালাজ করে। বিষয়টি তারা উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছে।