ঝিনাইদহে প্রকাশ্যে ট্রাফিক পুলিশের দুই কর্মকর্তার হাতাহাতি/ক্লোজড
ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহে ট্রাফিক পুলিশের দুই কর্মকর্তার মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ ক্লোজ (লাইনসে সংযুক্তি) করা হয়েছে তাদের। এরা হলো এ টিএস আই( সহকারি টাউন দারোগা) আলি হোসেন ও দিলিপ কুমার মজুমদার। সোমবার বেলা ১২ টার দিকে জেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্র পোষ্ট অফিস মোড়ে এঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় জেলা শহরের পোষ্ট অফিস মোড় এলাকায় কর্তব্য পালন করছিলেন, সার্জেন্ট সাহারিয়ার, এটিএসআই আলমগীর, দিলিপ কুমার মজুমদার,কনস্টেবল লাতফাত এবং নিমাই চন্দ্র। হঠাৎ সেখানে আসেন এটিএসআই আলি হোসেন। সে পুলিশ বক্সে ঢুকে পড়ে এবং সেখানে বসে থাকা এটিএসআই দিলিপ মজুমদারের সাঙ্গে উত্তপ্ত কথাবার্তাসহ ধাক্কা ধাক্কি শুরু হয়ে যায়। উত্তেজনা তখন তুঁঙ্গে। একপর্যায়ে পুলিশ বক্সের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে তারা। শুরু হয় আরেক দফায় হাতাহাতি। মজার খবর হলো এ ঘটনাটি নিরবে সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে যায়।
পুলিশের একটি সুত্র জানায় অতিসম্প্রতি গোটা জেলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ সড়ক ও মোড়ে শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা লাগান হয়েছে। অপরাধিদের চিহ্নত করতে লাগানো ক্যামেরা গুলো নিয়ন্ত্রনের জন্য পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের আইসিটি বিভাগের একটি পৃথক কক্ষ রয়েছে।
সুত্র মতে ঘটনাটি যখন ঘটে তখন পুলিশ সুপার নিজ কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন। তিনি নিজে ওই দুই ট্রাফিক পুলিশের এটিএসআইয়ের ভিডিও দেখেন।
একই সুত্র আরো জানায় স্বল্প সময়ের মধ্যে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার(ডিএসবি) কর্মকর্তারা বিষয়টি তুলে ধরেন তার কাছে। একই দিন বিকেল অনুমান ৩টার দিকে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে পুলিশ লাইনসে ক্লোজ করা ।
গোপন একটি সুত্র জানায় আগে থেকে অজ্ঞত আয়ের টাকা ভাগা করা নিয়ে ওই দুইজনের মধ্যে দ্ব›দ্ব চলে আসছিল। তবে জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক গৌরাঙ্গ পাল বলেছেন, টাকা ভাগ করা নিয়ে নয়, ডিউটি ভাগ করা নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার সুপার মো: হাসানুজ্জামান (পিপিএম) বলেন, ভিডিওটি আমি নিজে দেখেছি। এর বেশী কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।##