করোনা ফ্রন্ট লাইনারের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে ঝিনাইদহ জেলাবাসী
ঝিনাইদহের চোখ-
করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর পৌরসভার মেয়র আলহাজ সাইদুল করিম মিন্টু।
সোমবার সকালে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের করোনা সেলের মূখপাত্র ডা: প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কয়েকদিন যাবত সাইদুল করিম মিন্টুর করোনার উপসর্গ দেখা দিচ্ছিল। রোববার তিনি করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। কুষ্টিয়া ল্যাবে পাঠানো নমুনায় রোববার রাতে তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
করোনার শুরু থেকে ঝিনাইদহে ফ্রন্ট লাইনে থেকে কাজ করে যাচ্ছিলেন তিনি। ব্যক্তিগত, পৌরসভার পক্ষ থেকে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খাবার ও ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছিলেন। এছাড়াও করোনায় আক্রান্ত রোগিদের বাড়িতে নিয়মিত খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। শহরবাসিকে সচেতন রাখতে নিয়মিত মাইকিং, বাইসাইকেল যোগে বিভিন্ন স্থান ঘুরে ঘুরে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করেছেন তিনি। দিয়েছেন মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, জীবানুনাশক স্প্রে।
মেয়র আক্রান্ত হওয়ায় ঝিনাইদহে একজন সচেতন নাগরিক তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন‘ করোনা যোদ্ধা হিসাবে স্যালুট করি ; মিন্টু ভাই করোনায় আক্রান্তের সংবাদ শুনে খুবই কষ্ট পেলাম ; স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ি তিনিও এখন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। যখন মানুষের সচেতন ও করোনা থেকে রক্ষার জন্য ব্যাকুল ; তখন সচেতন ও সাবধনতা থেকেও কিভাবে যে অদৃশ্য ছোবল করোনার ছোয়া লাগলো সেটি বুঝে উঠতে পারেনি তিনি। এই ১৪ দিনে কত মানুষের কত ক্ষতি হয়ে যাবে আল্লাই জানেন ; মাফ করুক সবাইকে ; নিশ্চয় মিন্টু ভাই সুস্থ হয়ে আবার সেই যোদ্ধা আগের মত মাঠে মানব কল্যানে ছুটে চলবে সেই প্রত্যাশা করি ;
প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা সাইদুল করিম মিন্টু করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তার জন্য দোয়া চেয়েছেন তার পরিবার।
এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়েও থেমে নেই তিনি। হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকেও মানুষকে সচেতন করতে ফেসবুকে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহŸান জানাচ্ছেন। মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু নামের তার ফেসবুকে তিনি লিখেছেন ‘আজকে আমার রেজাল্ট ঈঙঠওউ-১৯ পজিটিভ এসেছে। অতএব আবারও বলছি আপনারা আশা করি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন…..। জরুরী প্রয়োজনেও মাস্ক ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হবেন না….. নিজে সচেতন হয়ে অন্যকে সচেতন করুন….। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির শুরু থেকেই আমি আপনাদের মঙ্গলের জন্য দিন-রাত কাজ করে গেছি…..। কিন্তু তারপরও মনে হচ্ছে কিছুই করতে পারলাম না…..। নিজের কাছে নিজেকেই তাই অপরাধী মনে হচ্ছে…। তারপরও সাধ্যানুযায়ী এই মুহূর্তে ঘরে থেকেও আমি আপনাদের জন্য কাজ করে যাওয়ার চেষ্টা করবো…। সারা দেশের ন্যায় ঝিনাইদহেও আক্রান্তের সংখ্যা এখন অনেক বেড়ে গেছে এবং প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে…
আমাদের সবাইকে এখন আরো সতর্ক হতে হবে। সবাই ঘর থেকে বিনা প্রয়োজনে বের না হই।
করোনা নিয়ে আতংক নয়, সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন।