নির্মানের আগেই ধসে পড়ল কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মানধীন গেট
সুমন মালাকার, ঝিনাইদহের চোখ-
নির্মানের আগেই ধসে পড়ল কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মানধীন গেট। আহত হয়েছেন তিন জন নির্মান শ্রমিক। বৃষ্টির কারনে এ ঘটনা ঘটেছে দাবী সংশ্লিষ্টদের।
প্রত্যক্ষদর্শী ক্লীনিকের আয়া জহুরা খাতুন জানান,মঙ্গলবার সকাল থেকে ওরা ঢালায়ের কাজ শুরু করে। এরপর বৃষ্টি শুরু হলে তারা কাজ বন্ধ করেন। বৃষ্টি শেষ হলে আবার কাজ করেন। কাজ প্রায় শেষের দিকে। গেটের মাথার উপর তখন ওদের তিন চার জন ছিল। হঠাৎ করে ঢসে পড়ল গেটটি। তিন জনের মত তারা আহত হয়।
কথা হয় হেড মিস্ত্রি হাবিবের সঙ্গে,তিনি বলেন বৃষ্টির কারনে ঢসে পড়েছে গেটটি। তবে আমি ইঞ্জিনিয়ার স্যারের ঢালায় দিতে নিশেধ করেছিলাম। তিনি আমাকে বলেন দায় ভার আমার, তোমরা ঢালায় দাও। গেট ধসে আমি সহ তিন জন সামান্য আহত হয়েছি। তবে প্রাণে বেচে গেছি।
বাকি আহতরা হলেন ইমন,আর এক জনের নাম জানিনা। তিনি ঢালায় মিস্তির লোক। এ ঘটনার পর জড়ো হতে উৎসুক জনতা। তারা বলতে থাকেন নি¤œমানের কাজ হচেছ। না হলে ভেঙ্গে পড়বে কেন।
কথা হয় জেলার স্বাস্থ্য প্রকৌশলী শাহ-আলমের সঙ্গে,তিনি বলেন,কাজের শুরু থেকে আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম। কাজ শুরুর পর প্রচুর বৃষ্টি হয়। এতে করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে পানিতে ডুবে যায়। এ সময় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশে ওই পানি অপসারনের জন্য ড্রেনটি পরিস্কার করে দেয়া হয়। যে ড্রেনটি চলে গেছে নির্মানধীন গেটের নিচ দিয়ে। পানির প্রবল বেগে গেটের নিচের মাটি সরে গিয়ে ধসে পড়েছে ওই গেট। এখানে কোন নি¤œমানের কাজ হচ্ছে না দাবী ওই কর্মকর্তার।
তিনি বলেন গেল ১৬-৬-২০ তারিখে গেট ও দ্বিতল ভবন বিশিষ্ট গ্যারেজের কাজটি শরু করেন শাহিন এন্টার প্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। যার মোট খরচ ধরা হয়েছে আটাশ লাখ টাকা।
কথা হয় কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রশিদের সঙ্গে,তিনি বলেন,যেটা ঘটেছে এটা দুঃখ জনক। কাজ শুরু পর তাদের সাইড বুঝিয়ে দেয়া হয়। এরপর কাজ শেষ হলে আমাকে তারা বুঝিয়ে দিবেন। তবে কি কারনে ঘটল তা আমাকে জানানোর জন্য ওই প্রতিষ্ঠানকে আমি চিঠি দিয়েছি। এটা আসলে আপনারা প্রকৃত ঘটনা জানতে পারবেন।