ঝিনাইদহ-৪ :প্রচার-প্রচারণায় আ’লীগ, মাঠে নেই বিএনপি
একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনের কাউন্ট-ডাউন শুরু হয়ে গেছে। দেশের অন্যান্য এলাকার মতো ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন অফিস, গ্রাম, পাড়া-মহল্লা ও শহরের চায়ের দোকানে মুখরিত হচ্ছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নিবার্চনের প্রসঙ্গ। তফসিল ঘোষণার পর মনোনয়নপত্র জমা এবং প্রাথীর্ যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। আওয়ামী লীগের একক প্রাথীর্ হিসেবে আনোয়ারুল আজিম আনার প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।অন্যদিকে সরকারবিরোধী জোট বিএনপি-জামায়াত শিবিরে চলছে হামলা-মামলা ও আতঙ্ক। তফসিল ঘোষণার পর এখনো তারা প্রকাশ্যে কোনো সভা-সমাবেশ করতে পারেনি। অন্যদিকে দলটির শত শত নেতাকমীর্ এখনো বাড়িছাড়া। গ্রেপ্তার আতঙ্ক ও একাধিক মামলার হুলিয়া নিয়ে শীষর্ নেতা থেকে ওয়াডর্ পযাের্য়র নেতারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। প্রতিদিনই গ্রেপ্তার হচ্ছেন তারা।
এদিকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার দিন রাতে শহরে মিছিল বের করে স্থানীয় নেতাকমীর্রা। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকমীর্রা তাদের ধাওয়া করে। এ ছাড়া শহরের একটি বাস কাউন্টার ভাঙচুর এবং ম্যানেজারকে পিটিয়ে জখম করে। যদিও রাতেই উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনিছুর রহমান মিঠু মালিথা তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, এই হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগ কিংবা আওয়ামী লীগের কেউ জড়িত নয়। এটি ছাত্রদল কিংবা বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ।
সব মিলিয়ে অনেকটা হতাশা নিয়ে ভোটের দিন গুনছে সরকারবিরোধী এই জোটের নেতাকমীর্রা। তাদের মধ্যে এখনো সন্দেহ, আদৌ তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন কিনা।
অন্যদিকে নিবন্ধন হারানো দল জামায়াতে ইসলামীর এখানে ভোট রয়েছে ২৫-৩০ হাজার। এই দলটি বিএনপির সঙ্গে জোটে থাকায় এই আসনটি পুনরুদ্ধারে বাড়তি সুবিধা পাবে দলটি।
এদিকে আওয়ামী লীগের প্রাথীর্ আনোয়ারুল আজিম সব থেকে বেশি উন্নয়ন উপহার দিয়েছেন দাবি করে জানান, আমি রাতদিন যেভাবে সাধারণ ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের খেঁাজখবর নিয়েছি, সেটা বিগত সময় অন্য কেউ করেনি। যে কারণে আমার বিশ^াস, ভোটাররা আবারও আমার এবং দলের প্রতীক নৌকা বেছে নেবে।